সার্থক কুমার দে, পাণ্ডবেশ্বরঃ একুশে জুলাই শহীদ দিবসে যোগ দিতে শনিবার পাণ্ডবেশ্বর থেকে পায়ে হেঁটে ধর্মতলার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন তৃণমূলের ১৩ জন কর্মী। এই পদযাত্রার সূচনা করেন পান্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। গত দু’বছর লকডাউন ও করোনা সংক্রমনের কারণে একুশে জুলাই ধর্মতলায় সভা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই এবছর একুশে জুলাই শহীদ সভা ঘিরে কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসহ, উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। এবার ধর্মতলার সভায় যোগ দিতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের ১৩ জন তৃণমূল কর্মী। পাণ্ডবেশ্বর থেকে ২২০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে তারা ধর্মতলার সভায় যোগ দেবেন। শনিবার বেলা দশটা নাগাদ বাঁকোলায় অবস্থিত বিধায়ক কার্যালয় থেকে ধর্মতলার উদ্দেশ্যে পায়ে হেঁটে তারা পদযাত্রা শুরু করেন। সবুজ পতাকা নাড়িয়ে পদযাত্রার সূচনা করেন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। নরেনবাবু জানান, একশ দিনের প্রকল্প সহ বিভিন্ন প্রকল্পে রাজ্যকে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র সরকার। সরকারি সমস্ত শিল্প সংস্থা বিক্রি করে দিচ্ছে কেন্দ্র। পদযাত্রায় অংশ নেওয়া তৃণমূল কর্মীরা যাত্রাপথে এই সকল বিষয়গুলি সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরবেন। উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে একুশে জুলাই সচিত্র পরিচয় পত্রের দাবিতে মহাকরণ অভিযানের ডাক দেন তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন অভিযানে ধুন্দুমার কান্ড ঘটে যায়। পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মীর। তখন থেকে প্রতি বছর যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে একুশে জুলাই ধর্মতলায় শহীদ দিবস পালন করা হতো। ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস দল তৈরি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বছর থেকে একুশে জুলাই পালন করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে। এ প্রসঙ্গে নরেনবাবু বলেন, ১৩ জন শহীদের স্মৃতিতে ১৩ জন তৃণমূল কর্মীর পদযাত্রা বিফলে যাবে না। ২০২৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের বিদায় হবে। বিকল্প সরকারের প্রধানমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি হবেন বলে নরেনবাবুর দাবি।