সাথী প্রামানিক,পুরুলিয়া,৮ ডিসেম্বরঃ সিভিল পোশাকের পুলিশ সেজে রাস্তায় অসহায় পথচারীদের সোনার গয়না কৌশলে হাতিয়ে নেয়। নকল নোট বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে যুক্ত। এমনই কাজে যুক্ত আন্ত রাজ্য দুষ্কৃতী দলের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করল পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ।ধৃতদের নাম আলী রেজা ও তনবির হোসেন।এদের বাড়ি মধ্য প্রদেশে। দলের তিন মূল পান্ডাকেও আটক করেছে জামশেদপুর থানার পুলিশ। এই দুষ্কৃতীরা দলগত ভাবে সামাজিক অপরাধমূলক কাজের সঙ্গেও যুক্ত।পুলিশের লোক দাবী করে অভিনব উপায়ে গয়না ও টাকা হাতানোর অভিযোগে ওই দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুরুলিয়া জেলা আদালতে হাজির করে পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ। ধৃতদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে মোবাইল এবং জাল টাকা। ধৃতদের নাম আলী রেজা এবং তানভীর হোসেন। দুজনেরই বাড়ি মধ্যপ্রদেশে। এরা পুরুলিয়া শহরের একটি বিলাসবহুল হোটেলে ঘাঁটি গেড়েছিল। সন্দেহের ভিত্তিতে তাদের দিকে বিশেষ নজর রাখতে শুরু করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতেই গ্রেফতার করা হয় তাদের। ধৃতরা নানা ভাবে অপরাধ করতো। বেশির ভাগ সময় সিভিল ড্রেসে থাকা পুলিশ দাবী করে প্রতারণাও করতো। উদাহরণ দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, নাকা পয়েন্টের কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে তারা গাড়ি আটকাতো। এরপর নিজেদের পুলিশের লোক দাবী করে সাধারণ মানুষকে তাদের কাছে থাকা টাকা এবং গয়না সুরক্ষিত রাখার উপদেশ দিত। এরপর নিজেরাই একটি খামে ভরে টাকা এবং গয়না যত্ন করে রাখার কথা বলে সেইগুলি বদলে দিত। তাদের কাছে কিছু নকল গয়না এজন্য রাখতো দুষ্কৃতিরা। এছাড়াও জাল নোটের ব্যবসাও করতো তারা। জামশেদপুর থানার পুলিশ এই দলের অন্যতম তিন পান্ডাকে আটক করে। তাদের মধ্যে জনৈক কাসেম ইউসুফ মাস্টার মাইন্ড। এর বাড়ি মহারাষ্ট্রের পুনেতে। এই দুষ্কৃতীরা শুধু পুরুলিয়া জেলায় নয় রাজ্যের দুর্গাপুর, বাঁকুড়া জেলা এবং ঝাড়খণ্ডের বোকারো, জামশেদপুরে নানা অপরাধ করেছে। তাদের সঙ্গে নেপাল সহ বিভিন্ন জায়গার দুষ্কৃতীদের যোগ রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।আপাতত ধৃতদের জেরা করে আর কী কী অপরাধের সঙ্গে তারা যুক্ত রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।