নিজস্ব প্রতিনিধি,দুর্গাপুরঃ দুর্গাপুর পুরভোটের আগে সরগরম শিল্পাঞ্চলের রাজনীতির ময়দান। নবজোয়ার কর্মসূচীতে শহরে এসেছিলেন সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অবৈধ কয়লা পাচার থেকে গরু পাচারে মদত থাকার অভিযোগ। আর তাই শহরকে কলুষিত হওয়ার থেকে শুদ্ধিকরনে নামল গেরুয়া শিবির। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর সিটি সেন্টারে ঝাঁটা হাতে গোবর জল নিয়ে রাস্তা পরিস্কার করল বিজেপি। ঝাঁটা দেওয়ার পর গঙ্গাজলও ছড়িয়ে দেয় বিজেপি কর্মীরা। দুর্গাপুরের চিত্রালয় মেলা ময়দানের অধিবেশন থেকে অভিষেক জীতেন্দ্র তেওয়ারীর নাম না করে বলেন,” বিজেপি বলে কয়লা চোর। সব থেকে বড় কয়লা চোর পান্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক। মানুষ তাকে প্রাক্তন করেছে, আজীবন প্রাক্তন হয়ে থাকবে। হেরে যাওয়ার পর তৃণমূলে আসার জন্য ১০০ বার দরবার হয়েছে। তিনি আরও বলেন,” বিশ্বাসঘাতকদের তৃণমূলে দরজা বন্ধ। বেনো জল বের করতেই নব জোয়ার নিয়ে এসেছি। আর এই নব জোয়ারে মানুষের ভিড়ে জন জোয়ারে পরিনত হয়েছে।” তিনি বলেন,” দিলীপ ঘোষ কয়লা মাফিয়া জয়েদব খাঁ কে নিয়ে শিবের মাথায় জল ঢালছে। কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী, কয়লা মাফিয়াদের সঙ্গে হোটেলে ছবি তুলছে। রাজু ঝাঁ কোন দলে ছিল। লোকে চুরি করে জেলে যায়। বড় চোরেরা চুরি করে বিজেপিতে যায়।” তিনি বলেন,” বাংলায় ১৫১ টা কেন্দ্রীয় টিম এসেছে। ২৪ মাসে ২৫ টা ইডি, সিবিআই মামলা করেছে। তবুও তৃণমূলকে দমানো যায়নি। গত ১৭ বছর ধরে সিবিআই নোবেল চুরির কিছু করতে পারেনি। সারদার টাকা ফেরাতে পারেনি। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২ কোটি মানুষকে ৩৭ হাজার কোটি টাকা লক্ষী ভান্ডারে পাইয়ে দিয়েছে। আমাদের নেত্রী ৫০০ টাকা করে দিচ্ছে, আর দিল্লীর জুমলাবাজদের সরকার আধার কার্ডের লিঙ্কের নামে হাজার টাকা করে নিয়ে যাচ্ছে। বিজেপি ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি করে। আমরা কর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি করি। একদিকে দানব আর এদিকে মানব। অনাচার বনাম উন্নয়ন। তাই বিধানসভায় মানুষ বাংলার মেয়েকে নিয়ে এসেছে। তৃণমূল কথা দিয়ে কথা রাখে। আগামী নির্বাচনে মানুষের অধিকারের লড়াই। অধিকারকে সামনে রেখে ভোট দেবেন।” অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার শহরের পথে নেমে অভিনব প্রতিবাদে সরব হল স্থানীয় বিজেপি নেতা কর্মীরা। এদিন যে রাস্তা দিয়ে দুর্গাপুরে এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই রাস্তা অর্থাৎ সিটি সেন্টারের দুর্গাপুর নগর নিগম সংলগ্ন জাতীয় সড়ক সংলগ্ন সার্ভিস রোড গঙ্গাজল ও ঝাঁটা দিয়ে পরিস্কার করেন বিজেপি কর্মীরা। যার নেতৃত্ব দেন বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই। বিজেপি বিধায়ক এদিন অভিষেক ব্যানার্জিকে পাল্টা তোপ দেগে বলেন, “বাংলার সবচেয়ে বড় চোরের পায়ের ধুলো পড়ে রাস্তা অপবিত্র হয়ে গিয়েছিল। আমরা আজ সেই রাস্তা গোবর, গঙ্গা জল দিয়ে ধুয়ে ঝাঁট দিয়ে শুদ্ধিকরন করলাম। দুর্গাপুর শিক্ষিত সংস্কৃতবান লোকেদের জায়গা। এখানে কয়লা চোর, গরু চোর, বালি চোরেদের কোনও স্থান নেই।”
