পারমিতা মণ্ডল,রামপুরহাট,৪ ডিসেম্বরঃ বগটুই অগ্নিসংযোগ কাণ্ডে মুল অভিযুক্ত লালন শেখকে গ্রেফতার করল সিবিআই। তাকে রামপুরহাট মহকুমা বিশেষ আদালতে তোলা হলে বিচারক ছয়দিন সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২১ মার্চ রাত্রি সাড়ে আটটা নাগাদ ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বগটুই মোড়ে বোমা মেরে খুন করা হয় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে। ওই রাত্রে ভাদুর ছায়াসঙ্গী ছিলেন লালন শেখ। তিনি পালিয়ে প্রাণ বাঁচান। এদিকে ভাদু শেখ খুনের পরে পরেই বগটুই গ্রামের একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। জীবন্ত পুড়ে মৃত্যু হয় ১০ জনের। অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ প্রথমে ২২ জনকে গ্রেফতার করে। দুদিন পর ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেওয়ার পর তৃণমূলের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্যদিকে ভাদু শেখের খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ৬ জনকে। হাইকোর্টের নির্দেশে দুটি ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। ২১ জুন সিবিআই দুটি ঘটনার চার্জশিট জমা দেয়। সেই তালিকায় লালন শেখের নাম ছিল শীর্ষে। কিন্তু তাকে নাগালে পায়নি। ঘটনার পরদিন সকাল ১০ টা পর্যন্ত লালনকে এলাকায় দেখা গিয়েছিল। পুলিশ ধরপাকড় শুরু করতেই গা ঢাকা দেয় সে। শনিবার ঝাড়খণ্ডের পাকুড় মফঃস্বল থানার নরোত্তমপুর গ্রাম থেকে লালনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। জানা গিয়েছে, রামপুরহাটের এক নাপিতের মাধ্যমে পাকুড়ের এক নাপিতের কাছে লালনের টাকা পৌঁছে যেত। সেই নাপিতকে ধরেই পুলিশ লালনের কাছে পৌঁছে যায়। রবিবার মহকুমা বিশেষ আদালতে লালনকে তুলে সিবিআই আট দিনের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে। বিচারক সৌভিক দে ৬ দিন সিবিআই হেফাজত মঞ্জুর করে। সিবিআই সূত্রের খবর, লালনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অগ্নিসংযোগের ঘটনার বিষয় জানার চেষ্টা করবে। লালনকে নিয়ে পুনর্নির্মাণ করার কথাও ভাবছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তবে আদালত থেকে বেরিয়ে লালন সাংবাদিকদের জানান, তিনি অগ্নিসংযোগের ঘটনায় যুক্ত নন। তিনি হাসপাতালে ছিলেন।