সংবাদদাতা,অন্ডালঃ যে পুকুরে ছট পুজো হয় সেই পুকুর সংস্কার নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয়দের একাংশ। ঘাট ঠিকমতো সংস্কার করা হয়নি বলে অভিযোগ তাদের। ঘটনাটি খান্দরা পঞ্চায়েতের সিঁদুলি এলাকার। অন্ডালের খান্দরা পঞ্চায়েতের সিঁদুলি এলাকায় প্রতি বছর সাড়ম্বরে পালিত হয় ছট পুজো। এখানে বহু হিন্দি ভাষাভাষী মানুষের বসবাস। এলাকার দুটি পুকুরে হয় ছট পুজো। এরমধ্যে বেশিরভাগ প্রতি বছর পুজো করেন খান্দরা থেকে সিঁদুলি যাওয়ার রাস্তায় থাকা সিদ্ধেশ্বরী পুকুরে। এলাকার এটি বড় পুকুর। এছাড়াও রাস্তার উপর হওয়ায় এখানে যোগাযোগের ব্যবস্থাও ভালো। তাই এই পুকুরেই বেশিরভাগ ব্রতী ভিড় জমান। তবে এবার পুকুরঘাট সংস্কার নিয়ে ক্ষোভ জমেছে স্থানীয়দের মধ্যে। এদিন পুকুর ঘাটে গিয়ে দেখা যায় পুকুরের ৯৫% অংশই নোংরা। অব্যবহার আর অবহেলার কারণে গোটাপুকুর ভরে গেছে আগাছায়। জলও নোংরা। সংস্কার করা হয়েছে ঘাটের সামনের অংশটুকু। স্থানীয় বাসিন্দা অমরদ্বীপ মাঝি, মিনা দেবীরা জানান, ছটের গোটা পুজো প্রক্রিয়াটি হয় পুকুরের জলে। পুজোর জন্য সেই জলে স্নানও করতে হয়। পুকুরের ঘাট দায় সারাভাবে সংস্কার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা। তারা বলেন, এই জলে স্নান করলে চর্মরোগ হতে বাধ্য। আফশোসের সুরে তারা অভিযোগ করেন, আশপাশের এলাকায় ছটের জন্য পুকুর ঘাট সংস্কারের পাশাপাশি সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। তারা জানান, একপ্রকার বাধ্য হয়েই এই নোংরা জলে তাদের ছট পুজো করতে হবে। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রসঙ্গে খান্দরা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামলেন্দু অধিকারী বলেন, ছট পুজোর জন্য পঞ্চায়েত থেকে ঘাট সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু পুকুরটি ব্যক্তি মালিকানাধীন,সেটি ব্যবহারও হয় না। মালিকের অনুমতি ছাড়া গোটাপুকুর সংস্কার করা সম্ভব নয়। ঘাট সংস্কারের পাশাপাশি জল পরিষ্কার ও জীবাণু মুক্ত করতে চুন ও নুন দেওয়া হয়েছে। এতে কারো অসুবিধা হওয়ার কথা নয় বলে দাবি করেন শ্যামলেন্দু বাবু।