চার বছর আগে ভেসেছে সেতু, প্রশাসনকে বলেও সংস্কার হয়নি,এবার বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন ৫টি গ্রামের বাসিন্দারা

0
127

নিজস্ব প্রতিনিধি,বাঁকুড়াঃ বছর চারেক আগে কাদাঘাটি খালের জলে ভেসে গেছে সেতু। কিন্তু তারপর থেকে আর তা সংস্কার করার উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। শুখা মরশুমে সেতুর ভাঙ্গা অংশে মাটি দিয়ে অস্থায়ী সমাধান করা হয় বটে কিন্তু বর্ষা এলেই ফের ধুয়ে যায় সেই মাটি। সেতু সংস্কারের দাবী নিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীরা বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও বাঁকুড়ার মেজিয়া ব্লকের কাদাঘাটি সেতু থেকে গেছে সেই তিমিরেই। অগত্যা বাধ্য হয়ে মেজিয়া বিডিও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন কাদাঘাটি সেতু দিয়ে যাতায়াতকারী চার পাঁচটি গ্রামের মানুষ। বাঁকুড়ার মেজিয়া ব্লকের কাদাঘাটি,নাটশালা সহ চার পাঁচটি গ্রামের মানুষকে নিত্যদিনের প্রয়োজনে পারাপার করতে হয় কাদাঘাটি খাল। স্কুল কলেজ থেকে অফিস আদালত এমনকি দৈনন্দিন বাজার আনতেও এই খাল পেরোতে হয় ওই গ্রামগুলির মানুষকে। এলাকার মানুষের যাতায়াতের কথা ভেবে কাদাঘাটি খালের উপর বছর দশেক আগে একটি ছোট সেতু তৈরি করে রাজ্য সরকার। কিন্তু ২০১৮ সালে কাদাঘাটি খালে হড়পা বানে ওই সেতুর একাংশ ভেঙ্গে পড়ে। জলের তোড়ে ভাসিয়ে নিয়ে যায় খালের উপর থাকা সেতুর অংশ। ফলে এক প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে গ্রামগুলির। বর্ষা পেরোতেই অবশ্য প্রতি বছর কাদাঘাটি খালের উপর ভাঙ্গা সেতুর অংশে মাটি ফেলে যাতায়াতের সাময়িক ব্যবস্থা করে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু বর্ষা এলেই খালের জল সেই মাটি ধুয়ে নিয়ে যাওয়ায় ফের সমস্যায় পড়েন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের দাবি বর্ষাকালে কাদাঘাটি খালের উপর দিয়ে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে প্রায় দশ কিলোমিটার ঘুরপথে তাঁদের গ্রামে যাতায়াত করতে হয়। সেতুর স্থায়ী  সংস্কারের দাবীতে গত চার বছরে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদ সর্বস্তরে বারবার আবেদন জানিয়েছেন গ্রামগুলির মানুষ কিন্তু সমস্যা থেকে গেছে সেই তিমিরেই। এবার কাদাঘাটি সেতুর স্থায়ী সংস্কারের দাবীতে মেজিয়া বিডিও অফিস ঘেরাও করে আন্দোলনে নামলেন ওই গ্রামগুলির মানুষ। অবিলম্বে দাবীপূরণ না হলে আগামীদিনে আরো বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। মেজিয়া পঞ্চায়েত সমিতির তরফে জানানো হয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির আর্থিক ক্ষমতা সীমিত। তা সত্বেও কীভাবে ওই সেতু সংস্কার করা যায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

LEAVE A REPLY