পড়ুয়া আছে,আছে পরিকাঠামো,শিক্ষকের অভাবে বন্ধ স্কুল খোলার দাবীতে আটটি গ্রামের মানুষের বিক্ষোভ

0
133

নিজস্ব প্রতিনিধি,বাঁকুড়াঃ পাকা স্কুল ভবন আছে। আছে ইচ্ছুক শতাধিক পড়ুয়াও। কিন্তু শিক্ষক নেই। আর তার জেরে প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে স্কুলের দরজা। দূরবর্তী স্কুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন অসুবিধার কারনে বাড়ছে এলাকায় স্কুলছুটের সংখ্যা। অথচ হুঁশ নেই জেলা স্কুল শিক্ষা দফতরের। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে শিক্ষক নিয়োগের দাবীতে স্কুল শিক্ষা দফতরে আছড়ে পড়ল আটটি গ্রামের মানুষের বিক্ষোভ। বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের একেবারে প্রান্তিক গ্রাম খাগ। এই গ্রামেই ২০১৪ সালে দুজন ডেপুটেশন শিক্ষক দিয়ে শুরু হয় খাগ জুনিয়ার হাইস্কুল। পঞ্চম থেকে অষ্টম চারটি ক্লাসের জন্য চারটি পৃথক ক্লাসরুম বিশিষ্ট স্কুলের নিজস্ব ভবন তৈরী হয়। তৈরী হয় অফিস রুম, টিচার্স রুম এমনকি লাইব্রেরিও। স্কুলে মিড ডে মিলও চালু হয়ে যায়। পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়তে বাড়তে একশো ছুঁয়ে ফেলে। সোনামুখী ব্লক ছাড়াও আশপাশের ওন্দা ও বড়জোড়া ব্লকের স্থানীয় খাগ, শুড়িপুকুর, মদনমোহনপুর, ঢেঙ্গাকেন্দ, কড়াশুলি,কদমটিকরি, মাটিকাটা, বেনাচাপড়া সহ আটটি গ্রামের  পড়ুয়ারা নিয়মিত আসতে শুরু করে স্কুলে। কিন্তু ডেপুটেশনে থাকা দুজন শিক্ষক ২০১৭ সালে অন্যত্র বদলী নেওয়ায়  স্কুলে পঠন পাঠন বন্ধ হয়ে যায়। দুবছর বন্ধ থাকার পর ২০১৯ সালে ফের পার্শ্ববর্তী স্কুল থেকে দুজন শিক্ষককে ডেপুটেশনে ওই স্কুলে পাঠানো হলে ফের স্কুল খোলে। কিন্তু করোনার জেরে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকাকালীন ওই দুই শিক্ষকও বদলী হয়ে যাওয়ায় বছর খানেক আগে শিক্ষক শূন্য হয়ে পড়ে স্কুলটি। অগত্যা স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের একটা বড় অংশ বাধ্য হয়ে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে থাকা পাঁচাল হাইস্কুলে ভর্তি হয়। তখন থেকেই বন্ধ হয়ে যায় স্কুলটি। স্থানীয়দের দাবী গ্রামগুলি থেকে স্থানীয় পাঁচাল হাইস্কুলে যেতে হলে পড়ুয়াদের জঙ্গলপথে প্রায় ৯ কিলোমিটার এলিফ্যান্ট করিডোরের ভিতর দিয়ে যেতে হয়। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় অনেকেই পড়াশোনা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। খাগ জুনিয়ার হাইস্কুলে পঠন পাঠন চালু থাকলে তাঁদের এই সমস্যায় পড়তে হত না। তাই অবিলম্বে খাগ জুনিয়ার হাইস্কুলে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করে স্কুলটিতে পুনরায় পঠন পাঠন চালুর দাবীতে বাঁকুড়া জেলা স্কুল শিক্ষা দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন আটটি গ্রামের মানুষ। জেলা স্কুল পরিদর্শকের দাবী ওই স্কুলে স্থায়ী শিক্ষক পদের অনুমোদন নেই। আগামী শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগে ডেপুটেশন শিক্ষক দিয়ে স্কুলটি চালু করার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।

LEAVE A REPLY