নিজস্ব প্রতিনিধি,বাঁকুড়াঃ বাঁকুড়ায় চায়ে পে চর্চার মঞ্চ থেকে তৃণমূল খেদানোর ডাক দিলেন দিলীপ ঘোষ। সেই সঙ্গে অমর্ত্য সেন থেকে শুরু করে বিএসএফ এর গরু পাচারে যোগ, অনুব্রতর বেনামী সম্পত্তি,সোনালী গুহর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আকুতি নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়াও দিলেন তিনি। বাঁকুড়ার চায়ে পে চর্চার মঞ্চ থেকে এবার পরোক্ষে বন্যপ্রানী খেদানোর মতো করে তৃণমূল খেদানোর ডাক দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। আজ সকালে বাঁকুড়ার মাচানতলায় আকাশ মুক্ত মঞ্চে চায়ে পে চর্চা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে উঠে দিলীপ ঘোষ বলেন, ” জঙ্গলমহলের মানুষ বছরের পর বছর ধরে হাতি, বাঘ এর মতো শত্রুদের সঙ্গে হাতে শাল, হেঁতালের লাঠি নিয়ে লড়াই করে বেঁচে ছিল। এখন তারা চলে গেছে। এখন তার থেকেও ভয়ঙ্কর প্রানী এসেছে তাদের সাথে লড়তে হচ্ছে। শিং ওয়ালা দাঁত ওয়ালাদের সাথে মানুষ লড়েছে এরা তো কোন ছার। চোর ডাকাত। তাই এবার হাতি খেদা, শেয়াল খেদা নয় তৃনমূল খেদা অভিযান শুরু করতে হবে। এদিনের মঞ্চ থেকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, আমাদের পিছনে কাঠি দিলে এমনি হবে। আর মোদীর পিছনে কাঠি দিলে উদ্ধব ঠাকরে হবে, মুলায়ম হবে আর বাকি তো শেষে মমতার হবে। যারা পিছনে লাগবে, দেশের ক্ষতি করবে ও সমাজের ক্ষতি করবে তাদের আজ হোক বা কাল হোক হয় ভগবান নিয়ে যাবে নাহয় সিবিআই নিয়ে যাবে। বাঁচার কোনো রাস্তা নেই। অমর্ত্য সেনের বাড়ির সামনে তৃণমূলের ধর্না প্রসঙ্গে-তৃণুমূল যত দুর্নীতিগ্রস্থদের সাথে থাকে। কোনো ভদ্র সভ্য লোকের সাথে থাকবে না। অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর জমি দখল করে রেখেছেন এটা রেকর্ড। জমিটা ছেড়ে দিলেই মিটে যায়। যারা সরকারী জমি লুট করছে তারা তো সেই সব লোকের সাথেই থাকবে। অমর্ত্য সেন বাংলার গৌরব হতে পারে কিন্তু বাংলার লুট করার অধিকার নেই। গৌরবকে নষ্ট করেছেন তাঁরা। একজন নোবেল প্রাপ্ত ব্যাক্তি যদি অন্য কারো জমি নেয় এবং তা নিয়ে যদি বিতর্ক হয় তা মোটেই গৌরবের নয়।যৌথমঞ্চের ডি এ আন্দোলন – এ রাজ্যের সরকার ডিএ দেবে না, পেনশেনও দেবে না, চাকরীও দেবে না। লুঠেরাদের সরকার। এ সরকার বিদায় হলে তবেই সম্ভব হবে।মালদা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী ঐক্য ও একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার ডাক – তিনি কোথায় বিরোধী ঐক্য করবেন। বিরোধী ঐক্য তো তাঁর বিরুদ্ধে হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ঐক্য। যা সাগরদিঘি দেখিয়ে দিয়েছে। মুর্শিদাবাদে গাড়ির ছাদে চড়ে অভিষেকের জনসংযোগ – অভিষেক অমিত শাহ, মোদীকে নকল করছেন। একসময় টুপি পরে নমাজ পড়তেন। এখন মন্দিরে যাচ্ছেন। গরীবের বাড়িতে নৈবেদ্য সাজিয়ে বসছেন। খাচ্ছেন আমাদের নেতাদের মতো। অনভ্যাসের ফোঁটা চড়চড় করে। নিজের দলের লোকেদের সামলাতে পারছে না আর সমাজের জন্য কী করবে? গরু পাচারে বিএসএফ যোগ – বি এস এফ হোক বা যেই হোক গোরু পাচারে যারা যুক্ত তাদের সকলকে সাজা দিতে হবে। এটা আমাদের দাবী। অনুব্রতর বেনামে টাকা – হাজার হাজার কোটি টাকা এদিক ওদিক আছে। সব বেরোবে। সোনালী গুহ প্রসঙ্গ – তিনি তো বিজেপিতেই আছেন।