সংবাদদাতা, লাউদোহাঃ কল থাকলেও কোথাও সেই কলে জল পড়ে না, কোথাও আবার পড়ে নোংরা জল। দূষিত জলে এলাকায় বাড়ছে পক্সের প্রকোপ। গোগলা পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেন পি এইচ ই দপ্তরের আধিকারিক। দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের গোগলার পানশিউলি নদী পাড়ে রয়েছে পিএইচই দপ্তরের পাম্প হাউস। বোর হোলের মাধ্যমে নদীর জল পরিশুদ্ধ করে সেখান থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ করা হয় গোগলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ছাড়াও দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লক ও পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের একাংশে। অভিযোগ গোগলা পঞ্চায়েতের মাধাইপুর এলাকার চারটি সংসদ ও চন্দ্রডাঙ্গা এবং পানশিউলি সংসদের অধিকাংশ কলে বেশ কয়েক মাস ধরে জল পড়ছে না। আবার কিছু এলাকায় জল পড়লেও সেই জল অত্যন্ত নোংরা। নোংরা জল ব্যবহার করার ফলে এলাকায় পক্স রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তীব্র গরমের সময় পর্যাপ্ত পরিশুদ্ধ জল না পাওয়া এলাকায় তৈরি হয়েছে সমস্যা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বুধবার রাতে পানশিউলি পাম্প হাউস পরিদর্শন করতে আসেন জনসাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। সাথে ছিলেন দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের বিডিও দেবজিত দত্ত। তারা পাম্প হাউস সহ বোর হোল, ফিল্টার হাউস খতিয়ে দেখেন। পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করে নিয়ে যান জলের নমুনা। কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথেও। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এক ইঞ্জিনিয়ার জানান পানশিউলি জলপ্রকল্পে বর্তমানে রয়েছে ১৮টি পাম্প। এর মধ্যে আটটি পাম্প বিকল। বাড়ি বাড়ি পাইপলাইনের সংযোগ দেওয়ার জন্য সম্প্রতি এলাকার মাটি কাটা হয়েছে, পাইপে মাটি ঢোকার ফলে জল নোংরা হতে পারে বলে বলে ধারণা দপ্তরের আধিকারিকদের। জলের কারণ ছড়াও অন্য কোন কারণে পক্স ছড়াতে পারে, জল পরীক্ষা করার পরেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে জানান তারা। পরীক্ষার জন্য পাম্প হাউস থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছেন তারা। তৃণমূলের গোগলা অঞ্চল সভাপতি গৌতম ঘোষ জানান জলের সমস্যার কথা এলাকার বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে জানানো হয়েছিল। তিনি দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছেন। তার নির্দেশেই বুধবার পি এইচ ই দপ্তরের আধিকারিকেরা পাম্প হাউস পরিদর্শন করেন। বিকল পাম্প গুলি সারানো সহ সমস্যা দ্রুত মিটবে বলে আধিকারিকরা আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান গৌতমবাবু।