উন্মাদনার মধ্যেও দুর্গাপুর কার্নিভালে বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থার অভিযোগ

0
538

বিশেষ প্রতিনিধি,দুর্গাপুরঃ  কার্নিভাল তুমি কার ? মহকুমা প্রশাসন না কি কয়েকজন ব্যবসায়ীর ?  শুক্রবার রাতে কার্নিভাল শেষে এই প্রশ্ন খোদ পুরসভার আধিকারিকদের। কিন্তু কেন এই প্রশ্ন ?  উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা গেল সকাল থেকে অনবরত কাজ করলেও খাবার জোটে নি পুরসভার একাধিক কর্মীর। পুরসভার গাড়ি চালকরা কার্যত না খেয়ে কাটালেন সারাদিন। কার কাছে খাবার চাইবেন বুঝতে পারলেন না তারা। শুধু খাবার নয়, দর্শকদের বসার ব্যবস্থা – কার্নিভালের আয়োজন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। ক্ষুব্ধ মন্ত্রী মঞ্চ থেকে নেমে রাস্তায় চলে আসেন। শোভাযাত্রায় ঠাকুরের মুখ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে না পেয়ে দর্শকদের একটা বড় অংশ ব্যারিকেড টপকে কার্নিভালের  রো- তে চলে আসেন। সেই সময় পুলিশ কার্যত দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। পরে মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার স্বীকার করে নেন কিছু ভুল ত্রুটি হয়েছে।  তবে সামগ্রিকভাবে সুন্দর কার্নিভাল হয়েছে। কিন্তু চুড়ান্ত অব্যবস্থা কেন ? শহরের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী কার্নিভালের দখল নেওয়ায় সরকারি আধিকারিকদের অনেকেই হাত গুটিয়ে নিয়েছেন। ফলে চুড়ান্ত অব্যবস্থা ধরা পড়েছে। যদিও ‘কার্নিভাল’ সফল হয়েছে বলে দাবি করেছেন উদ্যোক্তারা। কিন্তু বিরোধীরা পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন কার্নিভালে এত টাকা খরচের উৎস কী। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন “”শহরের মূল রাস্তা আটকে কতিপয় দুর্গাপুরবাসীর ফূর্তির কার্নিভালে কত খরচ হয়েছে এবং আয়ের উৎস ( নামের তালিকা সহ) প্রকাশ করুক কলকাতা নিবাসী দুর্গাপুরের বিধায়ক। ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রকাশ করুক উনি।” বিরোধীদের সমালোচনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন ” বিরোধীরা অনেক সমালোচনা করছেন। কিন্তু একটা কথা মনে রাখতে হবে বাংলার দুর্গা পুজো আজ বিশ্ব সমাদৃত।”  কার্নিভালে প্রবেশের ভিআইপি পাশ কে বা কারা বন্টন করল তার কোনও হদিশ পাওয়া যায় নি। চোরাই কয়লার এক কারবারির স্ত্রী মূল মঞ্চের পাশের মঞ্চে বসে রইলেন। পরে মূল মঞ্চে উঠে পড়লেন। কয়েকদিন আগে তিনি বিজেপিতে ছিলেন। কে বা কারা তাঁকে পাশ দিলেন উদ্যোক্তরা বলতে পারলেন না। অথচ দলের একনিষ্ঠ কর্মী নিখিল নায়েক, ভীম মন্ডল, রাজীব ঘোষ সহ আরও অনেককে বসার জন্য চেয়ার হাতরাতে হলো।

LEAVE A REPLY