ঘরের মেঝের একটা অংশ ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে,আতঙ্কিত বাড়ির সদস্যরা

0
34

নিজস্ব প্রতিনিধি,বাঁকু়ড়াঃ বাঁকুড়ার ছাতনা থানার ভূইয়াপাড়া এলাকায় জনৈক কাশীনাথ কুম্ভকারের বসত বাড়ি। কাশিনাথবাবু ও তার পরিবার গত দুবছর যাবৎ এই একতলা বাড়িতেই বসবাস করে আসছেন। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল, কিন্তু বাড়ির ছাদে যাওয়ার সিঁড়ির ধাপ শুরু হচ্ছে যে জায়গাটায় সেই অংশ থেকে ক্রমশ উত্তাপ বেরোচ্ছে লক্ষ্য করেন পরিবারের লোকজন। গত তিনদিন আগে ঘটনার আঁচ পেলেও প্রথমে অতটা গুরুত্ব দেয়নি কুম্ভকার পরিবার।  ৩ ফুট বাই ৩ ফুট জায়গা ক্রমশ গরম বাড়ছে। প্রথমে অবশ্য বিষয়টা অবহেলা করলেও গত তিনদিন ধরে উত্তাপ বাড়ছে। আর উত্তাপের পরিধিও বাড়ছে ক্রমশ। সেই ঘরই ব্যবহার করছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু আজ সকাল থেকেই বাড়ির ওই অংশের  গরম বেড়েছে কয়েকগুণ দাবী পরিবারের। এর পরই ঘটনার খবর দেওয়া হয় স্থানীয় পঞ্চায়েতে, উপস্থিত হন পঞ্চায়েতের প্রধান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ভিড় জমান এলাকার উৎসুক আতঙ্কিত মানুষজন। আশেপাশের লোকজন সবাই বাড়ির ওই জায়গাটা একবার চাক্ষুষ করতে চান। উত্তাপ ক্রমশ ছড়াচ্ছে আর এতেই ছড়িয়ে পড়ছে আতঙ্ক। ভীত সন্ত্রস্ত গ্রামের মানুষজন কিছু বুঝে উঠতে না পেরে খবর দেয় স্থানীয় ছাতনা থানায়। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ব্লক প্রশাসনের কাছে খবর যায়। ইতিমধ্যেই বিজ্ঞান মঞ্চের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে বিজ্ঞান মঞ্চের দাবি, নতুন বাড়ি নির্মাণের পরে পরেই এমন কিছু বিষয় রাজ্যের অন্যত্রও দেখা গেছে পূর্বে। সাম্প্রতিককালে ঝাড়গ্রামে এমনই একটি ঘটনার সাক্ষী থেকে ছিল বিজ্ঞান মঞ্চ। বিজ্ঞান মঞ্চের দাবি, সাধারণ একটা ঘটনা, বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত যাতে না হয় তা আটকাতে বিভিন্ন কোম্পানির তৈরি রাসায়নিক ব্যবহার করছেন বাড়ির মালিকেরা। আর সেই রাসায়নিকের সঙ্গেই সিমেন্টের কোনরকম বিক্রিয়ার ফলেই এই তাপ উৎপন্ন হতেই পারে। তবে সব কিছুই সরজমিনে তদন্তের প্রয়োজন,তারপরেই সঠিক কারণ বলা সম্ভব। এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

LEAVE A REPLY