নিজস্ব প্রতিনিধি,বাঁকুড়াঃ রহস্যজনকভাবে গলায় দড়ি নিয়ে আত্যহত্যার করে মৃত্যু হলো এক গৃহবধূর। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ছাতনা থানার জিড়রা গ্রামে। ঠিক তিন মাস আগে গত ১৯ শে বৈশাখ ছাতনা থানার জিড়রা গ্রামের বছর ২৪ এর রমেন মন্ডলের সঙ্গে প্রেম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন পুরুলিয়ার কালাবনি গ্রামের বছর ১৯ এর সমাপ্তি মন্ডল। স্বামী রমেন মণ্ডল দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি কারখানায় কর্মী। এরপর থেকে সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু তাল কাটলো আজ আত্মহত্যার ঘটনায়। ভোরবেলাতে স্বামী কাজে যাওয়ার পর নিরনিয়মান বাথরুমে দড়িতে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন গৃহবধু সমাত্তি এমনটাই অভিযোগ রমেনের পরিবারের। মৃতার শাশুড়ির দাবী গৃহবধূকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ করলে বাথরুমে ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তিনি। পরে শশুরের সাহায্য নিয়ে মৃতদেহকে নামান তারাই। মৃতার পরিবারের অভিযোগ তাদেরকে ফোন করে বারবারই বরপন হিসাবে গাড়ির দাবি জানিয়ে আসছিলেন রমেনের পরিবার।সে করনেই সম্ভবত এই খুন দাবী মৃতের পরিবারের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় ছাতনা থানার পুলিশ।মৃত্যুর খবর পেয়ে পুরুলিয়ার কলাবনি গ্ৰাম থেকে পরিবারের লোকজন ছুটে আছেন ছাতনার জিড়রা গ্রামে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ তাদের মেয়েকে খুন করে দড়িতে টাঙিয়ে দেওয়ার হয়েছে। জামাই রমেন মন্ডল সহ ও তার পরিবারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চাইছে মৃতের পরিবার। কি কারনে স্ত্রীর এভাবে মৃত্যু হলো সে সম্পর্কে কিছু জানেন না বলেই দাবী স্বামী রমেন মন্ডলের। কোনরকম পারিবারিক অশান্তি ছিল না এমনটাই দাবি ছেলের পরিবারের। ছাতনা থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ছাতনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠালে কতব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা করে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটিকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় মৃতারর স্বামী রমেন মন্ডল এবং শাশুড়ি মমতা মণ্ডল কে আটক করেছে ছাতনা থানার পুলিশ।প্রেম বিবাহের তিন মাসের মধ্যে কি এমন ঘটনা ঘটলো যে কারণে আত্মহত্যা করতে হলেও বছর ১৯ এর গৃহবধূকে, নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোন রহস্য তার তদন্ত শুরু করেছে ছাতনা থানার পুলিশ।