বিশেষ প্রতিনিধি,দুর্গাপুরঃ দুর্গাপুর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ড রাধাকৃষ্ণপল্লিতে(পূর্ব)গত বছরও কালি পুজোর আয়োজন করেছিলেন এলাকার কাকু – জেঠুরা। তাদের সহযোগিতা করেছিলেন পাড়ার ছেলেরা। কিন্তু শারীরিক অক্ষমতার জন্য অধিকাংশ বয়স্ক লোকেরা এবার পুজো থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। কাজ – ব্যবসা সহ নানা অজুহাত দেখিয়ে পাড়ার ছেলেরাও হাত গুটিয়ে নেয়। এই অবস্থায় ১৬ বছরের বেশি পুরনো রাধাকৃষ্ণপল্লির কালি পুজো প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। এমন সময় ত্রাতা হয়ে এগিয়ে আসেন পাড়ার মহিলারা। চাঁদা তোলা – বিসর্জন পর্যন্ত সমস্ত দায়িত্ব গ্রহনের অঙ্গীকার করেন মহিলারা। মহিলাদের এই উদ্যোগে খুশি রাধাকৃষ্ণ পল্লির বাসিন্দারা। তাদের দাবি দুর্গাপুরে এটাই প্রথম মহিলা পরিচালিত বারোয়ারি কালি পুজো। এবার কালি পুজোর আয়োজন করছেন মহিলারা। পরের বছর এই মহিলারা যদি দুর্গা পুজোর আয়োজন করেন তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। দায়িত্ব গ্রহনের পরেই নিজেদের মধ্যে মিটিং করে বিল বই ছাপিয়ে পাড়ার বাসিন্দাদের বাড়িতে গিয়ে চাঁদা তোলার কাজ শুরু করে দেন। একদল চাঁদা তোলার দায়িত্ব নেন। আরএক দল কুমোরপাড়ায় গিয়ে প্রতিমা অর্ডার দেওয়া, পুজোর বাজার – আলোক সজ্জা সহ যাবাতীয় কাজ শুরু করে দেন। প্যান্ডেলের কোনও ব্যপার নেই। রাধাকৃষ্ণপল্লির বাসিন্দাদের নিজস্ব মন্দিরেই দুর্গা ও কালি পুজো হয়। পুজোর উদ্যোক্তাদের তরফে গৌরী সরকার দে বলেন, ‘পাড়ার বয়স্ক লোকেদের অনেকেরই শারীরিক সমস্যা থাকায় এবার পুজোর আয়োজন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। অল্পবয়সী ছেলেরা কেউ বলছেন তাদের ব্যবসা আছে। আবার কেউ বলেছেন কাজ থেকে ছুটি পাবেন না। তাহলে পুজো হবে কী ভাবে। পুজো প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। তখন আমরা ১৮ জন মহিলা মিলে পুজোর দায়িত্ব গ্রহন করি। সঙ্গে পাড়ার অন্য মহিলা – কাকিমারাও আছেন। আমাদের হাত ধরে দুর্গাপুরে প্রথম মহিলা পরিচালিত বারোয়ারি কালি পুজো আয়োজিত হচ্ছে।’