পারমিতা মণ্ডল,বোলপুর, ২৪ নভেম্বরঃ লটারি কাণ্ডে সিবিআই হানা বীরভূমের বোলপুর থানার অন্তর্গত বড় শিমুলিয়া গ্রামে। এক কোটি টাকা লটারি প্রাপক নূর আলি ওই টিকিট কেটেছিল। সূত্রের খবর, তিরাশি লক্ষ টাকায় সেই টিকিট কিনে নেয় অনুব্রত। যদিও নূর আলির বাবা কটাই সেখের দাবি, ছেলের টিকিটে এক কোটি টাকা ওঠার খবর শোনার পর এক দল রাজনীতি করা ছেলে বাড়িতে হাজির হয়। তারা পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকা ছেলের হাতে দেয়। পরে বাকি টাকা দেব বলে নিয়ে যায়। কিন্তু আর কিছু দেয়নি। এদিন নূর আলির বাড়িতে রাখা একটি চার চাকা গাড়ি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। উল্লেখ্য, বুধবার রাতেই বোলপুরে হাজির হয় সিবিআই টিম।বৃহস্পতিবার খুব সকালে সিবিআই টিম বড় শিমুলিয়া গ্রামে নুর আলীর বাড়িতে পৌঁছে যায়। এদিন ৯১ সি আর পিসিতে নোটিশ ধরিয়ে নুর আলীকে প্যান কার্ড, ব্যাঙ্ক একাউন্ট, মোবাইল নম্বর সহ বিভিন্ন তথ্য নথি জমা দিতে বলে সিবিআই। পাশাপাশি ১৬০ ধারায় নোটিশ ধরিয়ে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প রতনকুঠিতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মোতাবেক এদিন বেলা এগারোটা নাগাদ নুর আলি তার বাবা কটাই সেখ হাজির হন সিবিআইয়ের অস্থায়ী অফিসে। এছাড়াও লটারি এজেন্সি বাপি গাঙ্গুলীকেও ডাকা হয়। তাকেও দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জানতে চাওয়া হয় তার কাছ থেকে এক কোটি টাকা লটারি টিকিটটি অনুব্রত মণ্ডল নগদ কত টাকায় কিনেছিলেন। বাপি গাঙ্গুলি সিবিআই কে জানায়, ৮৩ লক্ষ টাকা দিয়ে অনুব্রত টিকিট কিনেছিল। আমি শুধু মাধ্যমের কাজ করেছিলাম। নূরের পরিবারকে কোনরকম হুমকি দেওয়া হয়নি। কটাই শেখ বলেন, টিকিট কোটি টাকা জেতার পরেই তৃণমূলের লোকজন বাড়িয়ে এসে হুমকি দিয়ে যায়। বাধ্য হয়ে আমি টিকিট দিতে বলেছিলাম ছেলেকে। তা না হলে গ্রামে টিকতে দেবে না।