সাথী প্রামানিক, পুরুলিয়া, ১৯ মে: জেলার মুখ রাখল পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠ। রাজ্যের প্রথম দশ জনের তালিকায় পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের ৬ জন ছাত্র প্রথম দশের তালিকায় রয়েছে। পশ্চিম বঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের ঘোষণা অনুযায়ী এই বিদ্যাপীঠের দুই জন পঞ্চম স্থান পায়। অরিজিৎ মন্ডল (৬৮৮) ও শুভজিৎ দে (৬৮৮)। ষষ্ঠ স্থানও দুই জন পায় সৌম্যদীপ দাস (৬৮৭) সৌম্যদীপ নায়েক (৬৮৭)। সপ্তম স্থান সুভ্রম হাজরা (৬৮৬) এবং অষ্টম স্থানে রয়েছে অর্পণ সেন বর্মন (৬৮৫)। বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক স্বামী জ্ঞানরূপানন্দ মহারাজ বলেন, “গত কয়েক বছরে গড় সাফল্য খুব ভালো থাকলেও রাজ্যের প্রথম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত তেমন ছিল না। এবার ছয় জন প্রথম দশে রয়েছে। এছাড়াও সার্বিক ফলও আশানুরূপ হয়েছে।” অন্যদিকে, এবার জেলায় পাশের হার বাড়ল। শুক্রবার দুপুর ১২ পুরুলিয়া জিলা স্কুল এবং রঘুনাথপুরের জিডি ল্যাং ইন্সটিটিউট থেকে মাধ্যমিকের মার্কশিট বিতরণ করা হয়। পুরুলিয়া জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, এবছর পাশের হার আগের বছরগুলির তুলনায় বেড়েছে। ছেলেদের ক্ষেত্রে পাশের হার ৮৬.৯৬ শতাংশ এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ৭৭.৯৭ শতাংশ। ছাত্র-ছাত্রী মিলিয়ে পাশের হার ৮২.৪৬ শতাংশ। উল্লেখ্য, যে অতিমারি করোনার কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতির পর বিগত বছরের তুলনায় এবারে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অনেকটাই কম ছিল। সূত্রের খবর, ২০২২ সালে পুরুলিয়া জেলায় মাধ্যমিকের মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৫৪৮২৫ জন। আর এবছর ছাত্র ও ছাত্রী মিলিয়ে সেই সংখ্যাটা ছিল ২৬৪২৪ জন। যদিও পরীক্ষার্থী কমে যাওয়ার হিসেবটা অন্যভাবে দেখছে শিক্ষামহল। পুরুলিয়া জেলার মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালন কমিটির আহ্বায়ক সত্যকিংকর মাহাত জানান, ২০১৩ সাল থেকে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির বয়সসীমা সংক্রান্ত এক নির্দেশনার জেরেই সে বছর অনেক কম পড়ুয়া ভর্তি হয়েছিল। আর সেই পড়ুয়ারাই এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল বলে তিনি জানান। পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির পুরুলিয়া জেলার মুখপাত্র বিকাশ মাহাত জানান, কন্যাশ্রীর মত প্রকল্পের সুফলেই মেয়েদের পাশের হারে জেলার চিত্র ক্রমশ উজ্জ্বল হচ্ছে। প্রথম দশে স্থান পাওয়া ৬ জন পরীক্ষার্থীই পুরুলিয়া জেলার বাসিন্দা নয়।
