রাজ্য স্তরের মডেল প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে পুরুলিয়ার ছয় ছাত্র

0
63

সাথী প্রামানিক, পুরুলিয়াঃ  উদ্ভাবনী শক্তি ও প্রতিভার বহির্প্রকাশ ঘটিয়ে পুরুলিয়ার সফল ছয় প্রতিযোগী রাজ্য স্তরের মডেল প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেল। ওই ছয় প্রতিযোগী পুরুলিয়া জেলা বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞান মেলায় সফল হয়। এককভাবে পুরুলিয়া সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র রত্নদীপ শিকদার এবং সেন্ট পিটার্স স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র স্নেহাশীষ মাজি বেস্ট একক মডেল প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। রত্নদীপ চিকিৎসা ক্ষেত্রে ‘ সেফটি হুপ ‘  মডেল প্রস্তুত করে। স্নেহাশীষ ‘ লাইফাই ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ইনডাকশন’ এর উপরে মডেল তৈরি করে সফল হয়। সেই সুবাদে কলকাতার বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়ামে অনুষ্ঠিত রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় তারা অংশ নেবে। আগামী ৯ এবং ১০ জানুয়ারি রাজ্য স্তরের এই প্রতিযোগিতায় দলগতভাবে দুটি দল সেখানে অংশ নিচ্ছে বলে জানান, জেলা বিজ্ঞান কেন্দ্রের আধিকারিক ধ্রুব জ্যোতি চট্টোপাধ্যায়। এবারের সায়েন্স ফেয়ারে প্রথম স্থান অধিকার করে যথাক্রমে পুরুলিয়া সৈনিক স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র সৌমিক মাহাতো ও সৌভিক কুমার। এরা ‘উদ্ভিদ স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ সিস্টেম’ এর উপর মডেল করে নজর কাড়ে বিচারক মন্ডলীর।  যানবাহন দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা’ র উপর মডেল করে ওই বিভাগে দ্বিতীয় হয় বি এস এস সেন্ট্রাল পাবলিক স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির দুই ছাত্র প্রবাল ব্যানার্জি ও সায়ন চক্রবর্তী। এরাও রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। এছাড়াও বেস্ট স্কুল পারফরমেন্স প্রথম থেকে ষষ্ঠ স্থানাধিকারিদের, একক এবং দলগত প্রথম থেকে তৃতীয় স্থানাধিকারীদের পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরুলিয়া জেলা বিজ্ঞান কেন্দ্র আয়োজিত দুই দিনব্যাপী সায়েন্স ফেয়ারের সমাপ্তি হয় শুক্রবার। শিশুদের বিভাগ ছাড়াও একক ও দলগত বিভাগে শতাধিক ছাত্র ছাত্রী অংশ নেয়। পুরুলিয়া শহর ছাড়াও জেলার বাঘমুন্ডি, বলরামপুর, জয়পুর, কোটশিলা, কেন্দা থানা এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে মেয়েরাও তাদের তৈরি মডেল নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। বসে আঁকো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পুরুলিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) মুফতি শামীম শওকত ও জেলা গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ বিবেক চক্রবর্তী ও জেলা বিজ্ঞান কেন্দ্রের আধিকারিক সফল প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

LEAVE A REPLY