ডেঙ্গি রুখতে বিষ্ণুপুর পুরসভায় মেয়াদ উত্তীর্ণ মশানাশক স্প্রে নিয়ে বিতর্ক

0
151

নিজস্ব প্রতিনিধি,বাঁকুড়াঃ বর্ষার ভারী বৃষ্টির দেখা নেই। কিন্তু ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে কলকাতা সহ জেলার পুর এলাকাগুলিতে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে ডেঙ্গির সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতর রাজ্যের দশটি পুরসভাকে সতর্কও করেছে। আর এরই মাঝে মশানাশক স্প্রে নিয়ে বড়সড় বেনিয়ম সামনে এল বাঁকুড়ার  বিষ্ণুপুর পুরসভায়। পুরসভার তরফে মেয়াদ উত্তীর্ণ মশানাশক স্প্রে করা হচ্ছে সাধারণ মানুষের চোখে পড়তেই পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডে স্প্রে করার কাজ বন্ধ করে দেয় স্থানীয়রা। একই ঘটনা ঘটেছে সাত নম্বর ওয়ার্ডেও। এমনটা কীভাবে ঘটল তা খতিয়ে দেখা হবে দাবী বিষ্ণুপুর পুর কর্তৃপক্ষের। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে আজ সকালে বিষ্ণুপুর পুরসভার কর্মীরা আট নম্বর ওয়ার্ডে মশানাশক স্প্রে করতে যান। সেখানে মশানাশক স্প্রে করার সময় স্থানীয়রা দেখেন মশানাশক হিসাবে যে কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ২ বছর আগেই। বিষয়টি নজরে আসতেই মেয়াদ উত্তীর্ণ ওই কীটনাশক স্প্রে করা বন্ধ করে দেন এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই পার্শ্ববর্তী সাত নম্বর ওয়ার্ডে সরবরাহ করা কীটনাশকের ক্ষেত্রেও একই বেনিয়ম লক্ষ করা যায়। সাত নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষেত্রেও বিষয়টি নজরে আসতে কাউন্সিলার নিজে গিয়ে কীটনাশক স্প্রে করা বন্ধ করে দেন। এলাকার মানুষের দাবী মেয়াদ উত্তীর্ণ ওই মশানাশক স্প্রে করে মশা মারা তো সম্ভব নয়ই উলটে তার জেরে এলাকার মানুষের শরীরে অন্য শারিরীক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। স্প্রে করার দায়িত্বে থাকা পুর  কর্মীদের দাবী মশানাশকের প্যাকেটে থাকা মেয়াদের তারিখ তাঁদের চোখ এড়িয়ে যাওয়াতেই বিপত্তি। সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। বিষ্ণুপুরের  পুরপ্রধানের দাবী ও মশানাশক সরবরাহ করেছিল পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। কীভাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওই কীটনাশক এল বা তা কীভাবে ওয়ার্ডে গেল তা তদন্ত করে দেখা হবে।

LEAVE A REPLY