সাথী প্রামানিক, পুরুলিয়া, ২১ মেঃ মাধ্যমিক পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না হওয়ার কারণে হতাশায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে পরীক্ষার্থীরা। এই কারণেই পুরুলিয়া জেলায় মোট তিন জন ছাত্রী আত্মহত্যা করল। ফল ঘোষণার দিনই মার্কশিট হাতে পাওয়ার আগেই অসফল হওয়ার জন্য আত্মহত্যা করেন এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পুরুলিয়া টামনা থানার অন্তর্গত ডুড়কু গ্রামের বাড়িতে ওই ঘটনা ঘটে। মৃতার নাম দীপালি মাহাতো(১৫)। একই পথ বেছে নিলেন মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এক ছাত্রী। আজ সকালে টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পরই নিজের বাড়িতে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। আদ্রার সাউথ ইস্টার্ন রেলওয়ে গার্লস হাই স্কুলের ওই ছাত্রীর নাম ঐশিকি ব্যানার্জী(১৬)। আদ্রা থানার অন্তর্গত পলাশকোলার গোস্বামী পাড়ায় নিজের বাড়ির মধ্যে আত্মহত্যা করেন তিনি। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে আদ্রা থানার পুলিশ পৌঁছায়। ঝুলন্ত অবস্থায় বাড়ি থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে স্থানীয় রেলের হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা ওই ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করলে আদ্রা থানায় নিয়ে আসা হয় দেহটি। সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়া হাতোয়াড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ওই ছাত্রীর পারিবারিক সূত্রে, আদ্রার সাউথ ইস্টার্ন রেলওয়ে গার্লস হাইস্কুল থেকে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৪২৪ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল। পেশায় রেল কর্মী বাবা জটিলেস্বর ব্যানার্জী জানান তাঁর একমাত্র কন্যা ঐশিকি। প্রাপ্ত নম্বরে সন্তুষ্ট ছিল না সে। সংস্কৃতি চর্চা করত নিয়মিত। সঙ্গীত ও নৃত্যের শিক্ষানুবিশ ছিল সে। তাঁর গৃহ শিক্ষক সঞ্জীব কুমার দত্ত বলেন, আমি স্তম্ভিত। শান্ত স্বভাবের মেয়ে ছিল। কীভাবে এমনটা হল বুঝতে পারছি না। অন্যদিকে, শনিবার রাত্রে পুরুলিয়া মফস্বল থানার পিঁড়রগড়িয়া গ্রামে নিজের বাড়িতেই ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। স্থানীয় গোলামালা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন ওই ছাত্রী বালিকা মাহাত (১৬)। রাত্রেই পরিবারের লোকেরা তাঁকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান। পরিবারের দাবি মাধ্যমিক পরিক্ষায় আশানুরূপ ফল না হওয়ায় তিনি আত্মহত্যার করেন। জেলায় হতাশা গ্রস্ত হয়ে মৃত্যুর পথ বেছে নেওয়ার কারণ অজানা মৃত ছাত্রীদের পরিবারগুলির কাছে।