নিজস্ব প্রতিনিধি,বর্ধমানঃ ২০২৪ সালের মধ্যেই সব রাজ্যে এনআইএ-র শাখা খোলার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন,খুব ভাল প্রস্তাব। বিভিন্ন রাজ্যে যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আছে তার দায় শুধুমাত্র কেন্দ্রের নয়, তার দায়ভার রাজ্য সরকারকেও দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার যদি ঠিকঠাক কাজ করে তাহলে গরু পাচার থেকে বিভিন্ন দুর্নীতির কাজ হয় সেগুলো বন্ধ করা যাবে। একসঙ্গে কাজ করলে সেগুলো বন্ধ করা যাবে। তবে রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত কতটা মানবে তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থাকছে। কারন, বিভিন্ন সময় গরু পাচারের মত ঘটনা ঘটার সময় রাজ্য সরকারের কোন সাহায্য পাওয়া যায় না। শুক্রবার বর্ধমান সদর জেলা বিজেপি কার্যালয়ে দলীয় বৈঠক করতে আসেন বিজেপি রাজ্য সভানেত্রী তথা সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। তৃণমূলে এই মুহূর্তে পাল্লা ভারী অভিষেক শিবিরের,তারই মাঝে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে বারে বারে হাজির মুকুল রায়। ভাইফোঁটার দিন সঙ্গে হাজির শোভন, দল ভারী করতেই কি নিজের পুরোনো লোকেদের হাতে রাখতে চাইছেন মুকুল রায়? উত্তরে লকেট বলেন,তৃণমূল দলটা এখন পিসির দল এবং ভাইপোর দলে আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গেছে। কিছুদিন ধরে দেখতে পাচ্ছি পিসির আসেপাশের লোকজন বিভিন্ন স্ক্যামে জড়িয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রীদের বাড়িতে সিবিআই, ইডি হানা দিচ্ছে। তৃণমূল দলটা ভেঙে যাচ্ছে। নিজের নিজের অস্তিত্ব খোঁজার জন্য কখনো পিসির দিকে আবার কখনো ভাইপোর দিকে যাচ্ছে। আগামীদিনে তৃণমূলের মন্ত্রীসভা জেলে থাকবে এবং জেল থেকেই সরকার চালাবে। মুকুল রায়ের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশে থাকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন,পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে চোর, ডাকাত, লুঠেরাদের সাথে তৃণমূল সরকার থাকে। যাদের টাকা লুঠ হয়েছে তাদের সাথে তৃণমূল থাকে না। বিনয় মিশ্রর সাথে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের বিদেশে দেখা করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,কয়লা, গরু পাচারে পুরোপুরি ভাবে কালিঘাট জড়িত আছে। বাংলায় দেখা করলে মানুষের নজরে এসে যাবে তাই বিদেশে দেখা করে নিজেদের সেটেলমেন্ট করছে।
Home পূর্ব বর্দ্ধমান এনআইএ-র শাখা প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ লকেট বললেন,শুধু কেন্দ্র নয়,রাজ্য সরকারকেও দায় নিতে...