নিকাশি নালা সংস্কারের দাবীতে পঞ্চায়েত অফিসে ঘেরাও করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

0
40

নিজস্ব প্রতিনিধি,বর্ধমানঃ দীর্ঘদিন ধরে বেহাল নিকাশি নালা। অভিযোগ বিধানসভা ভোটের পর থেকেই শুরু হয়েছে সমস্যা। বার বার পঞ্চায়েতে দরবার করেও সুরাহা হয় নি। তাই এবার পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে প্রধানকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালো গ্রামবাসীরা। ড্রেন আছে, কিন্তু ড্রেনের জল জমে থাকছে ড্রেনেই। সেই জল পেরিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকারবাসিন্দাদের। আবার বৃষ্টি হলে ড্রেনের জল ঘরে  পর্যন্ত উঠে আসে। অস্বাস্থ্যকর এই পরিবেশের মধ্যেই বসবাস করতে হচ্ছে বর্ধমান শহর লাগোয়া বৈকন্ঠপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালনগর খাস পাড়ার বাসিন্দাদের। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার পঞ্চায়েতে জানানো হয়েছে। আশ্বাস মিললেও সমস্যার সমাধান হয়নি। দ্রুত সমস্যা মেটাতে হবে এই দাবী নিয়ে সোমবার বৈকন্ঠপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ দেখায় গোপাল নগরের বাসিন্দারা। চলে প্রধানকে ঘিরে বিক্ষোভ । এলাকাবাসীদের অভিযোগ, ভোটের আগে পর্যন্ত সব ঠিক ঠাক ছিল। কিন্তু ভোটের পর থেকে এলাকার জল সরছে না। স্থানীয় বাসিন্দা মুনমুন বনিক, রাখী ক্ষেত্রপালরা জানান, এই প্রচণ্ড গরমেও আমরা বৃষ্টি চাইছি না। কারণ, বৃষ্টি হলে আমরা ঘরে থাকতে পারবো না। আমরা বহু বার পঞ্চায়েতে দরবার করেছি সমস্যা মেটানোর জন্য। আগের প্রধানকেও বেশ কয়েকবার জানানো হয়েছিল। কিন্তু সমস্যা মেটেনি। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, তৃণমূল ভোটে জেতার পরে ভেবেছে এই পাড়া থেকে সবাই বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। তাই আমাদের জব্দ করার জন্য সমস্যা মেটাচ্ছে না পঞ্চায়েত। প্রধান আমাদের জানিয়েছে আপাতত লেবার লাগিয়ে জল পরিস্কারের ব্যবস্থা করা হবে। পরে ফাণ্ড এলে পাকাপাকি সমাধান করবে। সমস্যার পাকাপাকি সমাধান না হলে ড্রেনের পচা জল নিয়ে পঞ্চায়েতে ঢালা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা। পঞ্চায়েত প্রধান লিপি মালিক জানান, আমি আট মাস দ্বায়িত্ব নিয়েছি। বিডিএর সাথে এনিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই সমস্যার পাকাপাকি সমাধান করতে ৮-৯ লক্ষ টাকার মত প্রয়োজন। পঞ্চায়েতে অত ফাণ্ড থাকেনা।  বিডিএ থেকে ফাণ্ড এলে সমস্যা মিটে যাবে। সমস্যা নিয়ে শাসকদলকে একহাত নিয়েছে জেলা বিজেপি। যুব বিজেপি নেতা সুধীর রঞ্জন সাউ অভিযোগ করেন, ওই এলাকার মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছে তাই এই দুর্ব্যবহার। এলাকার মানুষজনকে নোংরা জল পেরিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ফলে তারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যেসব গ্রামে বিজেপি জিতেছে সেখানেই মানুষের সাথে এভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে।যদিও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস। তিনি জানান, মানুষের অসুবিধা হোক এমন কোন কাজ তৃণমূল করে না। ফাণ্ডের সমস্যা আছে বলে প্রধান জানাচ্ছেন, আশাকরি খুব তাড়াতাড়ি সমস্যা মিটে যাবে। বিজেপি, তৃণমূল দেখে উন্নয়ন হয়না। মুখ্যমন্ত্রীর ৬২টা প্রকল্পের সুবিধা দলমত নির্বিশেষে সকলেই পায়।

LEAVE A REPLY