নিজস্ব প্রতিনিধি,বর্ধমানঃ বুধবার রাস্তায় নামলেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির একদল আলুচাষী। হিমঘরের সামনের গেটে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করে অবরুদ্ধ করেদিলেন ক্ষুব্ধ আলুচাষীরা। এর আগে বর্ধমানে মুখমন্ত্রী প্রশাসনিক সভা করতে আসার আগের দিন কার্জনগেট চত্বরে আলুর ক্ষতিপূরণের দাবীতে বিক্ষোভ দেখান চাষিরা।এখানে উল্লেখ্য ২০২২ সালের মে মাসে পূর্ব বর্ধমানের রসুলপুর এলাকার তিরুপতি হিমঘরে থাকা আলু পচে নষ্ট হয়েছিল। হিমঘরে থাকা ১,১৫,৬৬৩ প্যাকেট আলু নষ্ট হয়। চাষীদের অভিযোগ, হিমঘর কর্তৃপক্ষর গাফিলতিতেই সেই আলু নষ্ট হয়েছিল। হিমঘর কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ না দেওয়ায় সেসময় আন্দোলন শুরু করেন চাষীরা। এলাকার চাষী ও ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে জিটি রোডে আলু ফেলে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি হিমঘরে গিয়েও বিক্ষোভ দেখায়। সেসময় দুর্গাপুরের প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার। চাষী ও হিমঘর কর্তৃপক্ষকে নিয়ে একাধিকবার জেলা প্রসাশন বৈঠকেও বসে। তবে সমাধান সূত্র মেলেনি।চাষীদের ক্ষতিপূরণ না দিয়ে হিমঘর কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। চাষীরা জানান, ৮৯০ টাকা প্রতি প্যাকেটে ক্ষতিপূরণ নির্ধারিত হলেও এখনো পর্যন্ত ২৫৯ টাকা করে তারা পেয়েছেন।দশ মাস হয়ে গেলেও তারা বাকি টাকা না পেয়ে চাষীরা বুধবার মেমারির রসুলপুরে জিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। চাষীদের দাবী, রসুলপুর এলাকার রাজপুর, তেলসারা, ছোট মশাগড়িয়া, চাকনাড়া, উলোরা সহ প্রায় ২৫ টি গ্রামের ১৮০০ চাষী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতি পূরণ না পেলে চাষীরা হুঁশিয়ারী দেন সামনের মরশুমে হিমঘর তারা খুলতে দেবেন না।