শেখ জয়উদ্দিন,দুর্গাপুরঃ পূর্ব ঘোষণা মতোই রাজ্য মন্ত্রীসভায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রীসভায় এলেন নতুন আট মন্ত্রী। এদের মধ্যে রয়েছেন দুর্গাপুর পূর্ব কেন্দ্র থেকে প্রথমবার বিধায়ক হওয়া প্রদীপ মজুমদার। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষ। তাঁকে যে মন্ত্রী করা হবে তার ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গিয়ে ছিল। অবশেষে আজ তা বাস্তবায়িত হল এবং প্রত্যাশা মতোই প্রদীপবাবুকে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী করা হয়েছে। দীর্ঘ প্রায় দেড় দশক পর মন্ত্রী পেল দুর্গাপুর। এর আগে বাম আমলে দুর্গাপুর থেকে শেষ বার মন্ত্রী ছিলেন মৃণাল বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রথমে শিল্প ও পরে বিদ্যুৎ দফতরের দায়িত্বে ছিলেন। মূলত রাজ্যের অপসারিত মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই মমতা চাইছিলেন, ‘স্বচ্ছ ভাবমূর্তি’র লোকজনকে সরকার পরিচালনায় নিয়ে আসতে। কিছুদিন আগে মন্ত্রীসভার রদবদল নিয়ে মমতা বলেছিলেন, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং সাধন পান্ডে মারা গিয়েছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে। তাদের দপ্তরগুলো প্রায় খালি পড়ে রয়েছে। আমার পক্ষে এতগুলো দপ্তর দেখা সম্ভব নয়। তাই আমরা মন্ত্রিসভায় একটা ছোট রদবদল করছি। এই রদবদলে কয়েকজন নতুন মন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি মন্ত্রীত্বও হারালেন কয়েকজন। বাবুল সুপ্রিয় এর আগে মোদী মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ে বিজেপি ছেড়ে দেন। সেইসঙ্গে তিনি সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দেন। পরে তৃণমূলে যোগ দিয়ে বিধায়ক নির্বাচিত হন। এবার তিনি রাজ্যের মন্ত্রী হলেন। এক নজরে নতুন মন্ত্রী ও তাদের দফতর – পূর্ণমন্ত্রী হয়েছেন – প্রদীপ মজুমদার- পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন, পার্থ ভৌমিক- সেচ ও জলপথ, উদয়ন গুহ-উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন,বাবুল সুপ্রিয়- তথ্য প্রযুক্তি ও পর্যটন, স্নেহাশিস চক্রবর্তী- পরিবহন। এছাড়া স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা হলেন বীরবাহা হাঁসদা- বন এবং স্বনির্ভর, বিপ্লব রায়চৌধুরী- মৎস্য। প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন – তাজমুল হোসেন- ক্ষুদ্র, কুটির ও বস্ত্র, সত্যজিত বর্মন-শিক্ষা।