দুর্গাপুরে একই পরিবারের চারজনের রহস্য মৃত্যু,অভিযোগের তীর মামাবাড়ির দিকে

0
42

দুর্গাপুর,১৯ মার্চঃ একই পরিবারের চারজনের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে দুর্গাপুরের কুরুড়িয়া ডাঙার মিলনপল্লি এলাকায়। আজ সকালে এখানকার বাসিন্দা মন্ডল পরিবারের গৃহকর্তা অমিত মণ্ডল (৩৭), স্ত্রী রূপা মণ্ডল (‌৩৩)‌ এবং তাদের দুই সন্তান নিমিত মণ্ডল (৭) ও নিকিতা মণ্ডল (১০ মাস) এর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্ত্রী রূপা একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। স্বামী অমিত জমি বাড়ি কেনাবেচা সংক্রান্ত ব্যবসা করতেন। বাড়ির ভিতরেই চারজনের নিথর দেহ উদ্ধার হয়। বাড়ির ভিতরে অমিতের ঝুলন্ত দেহ মিলেছে। আর বিছানায় পড়ে ছিল তাঁর স্ত্রী এবং দুই সন্তানের দেহ। তবে রহস্য দানা বেধেছে দুটি কারনে। প্রথমতঃ গৃহকর্তা অমিতের দেহটি ঘরের সিলিং ফ্যানের থেকে ঝুলছিল। তার হাত বাঁধা ছিল। দ্বিতীয়তঃ ঘরে লাগানো সিসি়টিভি কালো পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। এসব থেকেই এলাকাবাসীর অনেকের অভিযোগ,পরিবারের সকলকে খুন করা হয়েছে। এমনকি,রাতের অন্ধকারে অমিতের বাড়িতে বহিরাগত কেউ এসেছিল কিনা সেই সন্দেহও প্রকাশ করেছেন প্রতিবেশীদের অনেকে। মৃতদেহ উদ্ধার করতে যাওয়া পুলিশকে তারা প্রথমে মৃতদেহগুলি উদ্ধারে বাধা দেয় এবং তারা দাবি জানিয়েছে অবিলম্বে এই ঘটনায় দোষীদের খুঁজে বের করুক পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে সম্পত্তি বিবাদের জেরেই এই ঘটনা। মৃত গৃহবধূ রূপা মণ্ডলের পরিবারের পক্ষ থেকেও এই ঘটনাকে খুনের ঘটনা বলেই দাবি করা হয়েছে এবং তারা অমিতের মা সহ অমিতের মামারবাড়ির একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ সম্পত্তির জেরেই এই খুন করা হয়েছে। এদিকে মৃত্যুর আগে অমিতের হোয়াটসঅ্যাপ এবং সোস্যাল মিডিয়ায় করা মেসেজ নিয়েও রহস্য দানা বেঁধেছে। সেখানে সে তার মাকে উদ্দেশ্য করে বলেছে-মা শান্তিতে থাকো। আমরা চল্লাম। পোস্টে মা ছাড়াও মামারবাড়ির কয়েকজনের নামও উল্লেখ করা আছে বলে জানা যাচ্ছে। স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে,সম্পত্তি নিয়ে মায়ের সঙ্গে প্রায়শই অশান্তি হতো অমিতের। মা উমা মন্ডল অমিতের সম্পত্তির একটি ভাগ তার ভাইদের দেওয়ার কথা বলেছিল। এটা নিয়ে উমাদেবী ও তার ভাইয়েরা অমিতের উপর ক্রমাগত মানসিক চাপ দিত বলে অভিযোগ। কিন্তু,অমিত মামারবাড়ির জন্য সম্পত্তির কোনো আলাদা ভাগ মেনে নিতে পারেনি। আর তাতেই নাকি বিবাদ চরমে উঠেছিল। কিন্তু, যে অবস্থায় অমিতের দেহ উদ্ধার হয়েছে তা দেখে আত্মহত্যা নয়,এটা খুন বলেই প্রতিবেশীদের অনেকেরই দাবি। এই ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রতিক শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারীর কোন যোগ আছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারন,পারিবারিক গ্রুপে অমিতের হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে তার  মামাতো ভাই–বোনেদের দায়ী করেছেন। সেখানে মামাতো ভাই–বোনেরা ২০১২ সালে টাকার বিনিময়ে স্কুলের চাকরি পেয়েছিলেন বলে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে উল্লেখ করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে গিয়েছেন অমিত মণ্ডল। সব মিলিয়ে এই ঘটনা এক গভীর রহস্য সৃষ্টি করেছে। সম্পত্তি বিবাদের জেরেই এই ঘটনা নাকি আরও অন্য কোন কারন আছে,তা খতিয়ে দেখছে আসানসোল–দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ। ডিসিপি(পূর্ব) কুমার গৌতম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং তিনি জানান পুলিশের কাছে কিছু তথ্য এসেছে। তদন্তের কাজে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। জিঙ্গাসাবাদের জন্য অমিত মন্ডলের মা ও অমিতের মামার বাড়ির একজনকে আটক করা হয়েছে। আজ সকালে এখানকার বাসিন্দা মন্ডল পরিবারের গৃহকর্তা অমিত মণ্ডল (৩৭), স্ত্রী রূপা মণ্ডল (‌৩৩)‌ এবং তাদের দুই সন্তান নিমিত মণ্ডল (৭) ও নিকিতা মণ্ডল (১০ মাস) এর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্ত্রী রূপা একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। স্বামী অমিত জমি বাড়ি কেনাবেচা সংক্রান্ত ব্যবসা করতেন। বাড়ির ভিতরেই চারজনের নিথর দেহ উদ্ধার হয়। বাড়ির ভিতরে অমিতের ঝুলন্ত দেহ মিলেছে। আর বিছানায় পড়ে ছিল তাঁর স্ত্রী এবং দুই সন্তানের দেহ। তবে রহস্য দানা বেধেছে দুটি কারনে। প্রথমতঃ গৃহকর্তা অমিতের দেহটি ঘরের সিলিং ফ্যানের থেকে ঝুলছিল। তার হাত বাঁধা ছিল। দ্বিতীয়তঃ ঘরে লাগানো সিসি়টিভি কালো পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। এসব থেকেই এলাকাবাসীর অনেকের অভিযোগ,পরিবারের সকলকে খুন করা হয়েছে। এমনকি,রাতের অন্ধকারে অমিতের বাড়িতে বহিরাগত কেউ এসেছিল কিনা সেই সন্দেহও প্রকাশ করেছেন প্রতিবেশীদের অনেকে। মৃতদেহ উদ্ধার করতে যাওয়া পুলিশকে তারা প্রথমে মৃতদেহগুলি উদ্ধারে বাধা দেয় এবং তারা দাবি জানিয়েছে অবিলম্বে এই ঘটনায় দোষীদের খুঁজে বের করুক পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে সম্পত্তি বিবাদের জেরেই এই ঘটনা। মৃত গৃহবধূ রূপা মণ্ডলের পরিবারের পক্ষ থেকেও এই ঘটনাকে খুনের ঘটনা বলেই দাবি করা হয়েছে এবং তারা অমিতের মা সহ অমিতের মামারবাড়ির একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ সম্পত্তির জেরেই এই খুন করা হয়েছে। এদিকে মৃত্যুর আগে অমিতের হোয়াটসঅ্যাপ এবং সোস্যাল মিডিয়ায় করা মেসেজ নিয়েও রহস্য দানা বেঁধেছে। সেখানে সে তার মাকে উদ্দেশ্য করে বলেছে-মা শান্তিতে থাকো। আমরা চল্লাম। পোস্টে মা ছাড়াও মামারবাড়ির কয়েকজনের নামও উল্লেখ করা আছে বলে জানা যাচ্ছে। স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে,সম্পত্তি নিয়ে মায়ের সঙ্গে প্রায়শই অশান্তি হতো অমিতের। মা উমা মন্ডল অমিতের সম্পত্তির একটি ভাগ তার ভাইদের দেওয়ার কথা বলেছিল। এটা নিয়ে উমাদেবী ও তার ভাইয়েরা অমিতের উপর ক্রমাগত মানসিক চাপ দিত বলে অভিযোগ। কিন্তু,অমিত মামারবাড়ির জন্য সম্পত্তির কোনো আলাদা ভাগ মেনে নিতে পারেনি। আর তাতেই নাকি বিবাদ চরমে উঠেছিল। কিন্তু, যে অবস্থায় অমিতের দেহ উদ্ধার হয়েছে তা দেখে আত্মহত্যা নয়,এটা খুন বলেই প্রতিবেশীদের অনেকেরই দাবি। এই ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রতিক শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারীর কোন যোগ আছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারন,পারিবারিক গ্রুপে অমিতের হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে তার  মামাতো ভাই–বোনেদের দায়ী করেছেন। সেখানে মামাতো ভাই–বোনেরা ২০১২ সালে টাকার বিনিময়ে স্কুলের চাকরি পেয়েছিলেন বলে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে উল্লেখ করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে গিয়েছেন অমিত মণ্ডল। সব মিলিয়ে এই ঘটনা এক গভীর রহস্য সৃষ্টি করেছে। সম্পত্তি বিবাদের জেরেই এই ঘটনা নাকি আরও অন্য কোন কারন আছে,তা খতিয়ে দেখছে আসানসোল–দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ। ডিসিপি(পূর্ব) কুমার গৌতম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং তিনি জানান পুলিশের কাছে কিছু তথ্য এসেছে। তদন্তের কাজে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। জিঙ্গাসাবাদের জন্য অমিত মন্ডলের মা ও অমিতের মামার বাড়ির একজনকে আটক করা হয়েছে। 

LEAVE A REPLY