পারমিতা মণ্ডল,রামপুরহাট,৪ মেঃ ফের পাও না পাওয়ার অভিযোগ শুনতে হল। সাংসদকে হাতের কাছে পেয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। বীরভূম সাংসদ শতাব্দী রায়ও প্রত্যেকের বক্তব্য শুনে যতটা সম্ভব সমাধানের আশ্বাস দিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে বীরভূমের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের নবগ্রাম,নগরা,কাঁটাগড়িয়া, ভগলদিঘি,হাজারপুর গ্রামে জনসংযোগ করতে যান বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। বেলা ১১ টা নাগাদ হাজারপুর গ্রামে গাড়ি থেকে নেমে একটি টোটোতে চেপে এলাকায় যান সাংসদ। সেখানে গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। গ্রামবাসী পাকা বাড়ি পাননি বলে অভিযোগ করেন। গ্রামের রাস্তা নিয়ে অভিযোগ করে সাধারণ মানুষ। এলাকার বাসিন্দা আজিরা খাতুন বলেন,আমি বিধবা,আমার বিধবা ভাতা হয়নি। আমি লক্ষ্মীর ভান্ডার পায়নি। একটি বাড়ি আছে টিনের চাল। বৃষ্টির সময় বাড়িতে জল পড়ে। আমি শতাব্দীকে জানালাম। আমাকে বললো মেম্বারকে বলতে,দেখা যাক কিছু পায় কি না। প্রসঙ্গত,গত ১৩ জানুয়ারি দিদির দূত হয়ে জনসংযোগে গিয়ে কোথায় বিক্ষোভের মুখে পড়ে বিতর্কে জড়ান বীরভূম সাংসদ শতাব্দী রায়। হাঁসন বিধানসভার বিষ্ণুপুর অঞ্চলের মেলেডাঙা গ্রামে যান শতাব্দী রায়। সেখানে তিনি গাড়ি থেকে নামতেই রাস্তার সমস্যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীরা সাংসদকে ঘিরে বলতে থাকেন একাধিকবার রাস্তার সমস্যা নিয়ে বলা হয়েছে। কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। বিক্ষোভের মুখে পড়ে মেজাজ হারান শতাব্দী রায়, যদিও সাংবাদিকদের প্রশ্নে শতাব্দী বলেন,আপনারা ভুল ব্যাখ্যা করেছেন। আমি কাউকে ধমক দিইনি। মজা করে বললাম আপনার বলা হল। এবার অন্যজনকে বলতেদেন। এদিন দুপুরে নলহাটির নগরা গ্রামে মধ্যাহ্ন ভোজন করেন শতাব্দী রায়। কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ বলেন, যে সমস্যা গুলো আমার দ্বারা করা সম্ভব আমি করবো। বাকি গুলো যেখানে পাঠানোর পাঠাবো। কয়েকদিন আগেই নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি বিভাসচন্দ্র অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে আর্জ মহাসভা নামে নতুন দলের গঠন করেন। সেই প্রসঙ্গে শতাব্দী রায় বলেন,দল থেকে একজন চলে যাওয়া দলের ক্ষতি। উনি আমাদের ভালো কর্মী ছিলেন। তবে নতুন দলে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের কোন ক্ষতি হবে না।