সংবাদদাতা,লাউদোহাঃ পুনর্বাসনের দাবিতে ধর্না অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালো খনিতে ব্লাস্টিং এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা। সম্প্রতি ঝাঁঝরা প্রজেক্ট খনিতে বিস্ফোরণের ফলে সংলগ্ন শীর্ষা গ্রামে একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় ১৮টি বাড়ি। বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় সেই সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে রাখা হয় অস্থায়ী ক্যাম্পে। দ্রুত পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল সংস্থার পক্ষ থেকে। কিন্তু তারপর পুনর্বাসনের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। উল্টে অস্থায়ী ক্যাম্প তুলে দেয় সংস্থা। ক্যাম্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে গ্রামবাসীরা ফিরে যান ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে। বুধবার ফের রাতে শীর্ষ গ্রামে নতুন করে কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। শুক্রবার পুনর্বাসনের দাবিতে ঝাঁঝরা এমআইসি মোড়ে ইসিএলের পরিবহন আটকে ধরনায় বসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা। ফলে বন্ধ হয়ে যায় ইসিএলের কয়লা পরিবহন। বেলা আড়াইটা নাগাদ বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলতে আসেন ঝাঁঝরা এরিয়ার পার্সোনাল ম্যানেজার রঙ্গন চন্দ্র ও মাধুরী কৃষ্ণমূর্তি। তারা দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা। তৃণমূলের শ্রমিক নেতা পলাশ পান্ডে জানান, আগামী বুধবার এলাকার বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ ও সুজিত মুখোপাধ্যায় সহ একটি দল শীর্ষা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাবেন। সরজমিনে দেখে তারা পুনর্বাসনের রিপোর্ট তুলে দেবেন আধিকারিকের হাতে। সংস্থা এই ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে বলেও জানান পলাশবাবু।