বাদাম সেক খেয়ে,পানাগড়ে অসুস্থ ৬ পড়ুয়া

0
71

জয় লাহা,দুর্গাপুর,২৪ ফেব্রুয়ারীঃ ফুটপাথের ঝা চলচকে কুলপি গাড়ী থেকে বাদাম সেক খেয়েছিল। আর তাতেই অসুস্থ হওয়ার অভিযোগ উঠল। এমনই অসুস্থ হয়ে কাঁকসা ব্লক হাসপাতালে ভর্তি ৬ পড়ুয়া। অসুস্থরা সকলে কাঁকসার বাসিন্দা। ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কাঁকসার পানাগড়ে। ঘটনার তদন্তের আশ্বাস খাদ্য সুরক্ষা দফতরের। ঘটনায় জানা গেছে, গরমের শুরুতেই দুর্গাপুর, পানাগড়ে ঠান্ডা রঙিন পানীয়ের পশরা নিয়ে হাজির ভিন রাজ্যের কিছু ব্যাবসায়ী। রয়েছে মানান রঙের লস্যি, কুলপি, বাদাম সেক, কাজু সেকের মত সুস্বাদু ঠান্ডা পানীয়। আর ওই রসনা তৃপ্তি পানীয়তে টান পড়ছে স্কুল পড়ুয়া থেকে সাধারন মানুষের। এদিন কাঁকসা ব্লক হাসপাতালে ভর্তি থাকা পড়ুয়ারা জানান,” দিন তিনেক আগে পানাগড় বাজারে রাজস্থান থেকে আসা একটি গাড়ী থেকে বাদাম সেক খেয়েছিলাম। বাড়ী ফিরে রাত্রে পেটে ব্যাথা শুরু হয়। তারপর পায়খানা বমি শুরু হয়।” এদিকে বেগতিক বুঝে পরিবারের লোকজন কাঁকসা ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করে। কাঁকসা বিএমওএইচ বিপ্লব মন্ডল জানান,”খাবারে বিষক্রিয়া জনিত ৬ জন ভর্তি হয়েছিল। একজন সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছে। বাকিদের অবস্থা আগের তুলনায় সুস্থ। পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে।” প্রশ্ন উঠেছে বাজারে বিক্রি হওয়া ঠান্ডা পানীয়’র গুনগত মান ও খাদ্য সুরক্ষায়। জানা গেছে, চলতি বছর সুদুর রাজস্থান থেকে প্রায় ১০টি গাড়ী এসেছে ঠান্ডা পানীয়’র পসরা নিয়ে। ওই গাড়ীগুলি দুর্গাপুর, পানাগড়, অন্ডাল, পান্ডবেশ্বরে ঠান্ডা পানীয় নিয়ে বসছে। তবে তাদের পানীয় কতটা সুরক্ষিত সে বিষয়েও প্রশ্ন রয়েছে। যদিও দুর্গাপুর খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিক কিরনমনি দেবনাথ জানান,” বিষয়টি খোঁজ নিয়ে খতিয়ে দেখা হবে।” 

LEAVE A REPLY