সাথী প্রামানিক,পুরুলিয়া,৯ মার্চঃ অস্থায়ী কর্মীদের পর এবার একই দাবিতে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিলেন পুরুলিয়া পুরসভার জল সরবরাহের কাজে যুক্ত কর্মীরা। এতে পুরুলিয়া পুর এলাকায় জল সরবরাহ বন্ধ থাকার আশঙ্কা দেখা দিল। এই পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ১৪০ জন পাম্প অপারেটর ও কর্মীরা এক যোগে কর্ম বিরতির ডাক দিলেন। বকেয়া বেতন, নূন্যতম ১০ হাজার টাকা বেতন সহ বিভিন্ন দাবিতে শুক্রবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেন তাঁরা। দাবি নিয়ে পুর প্রধানকে চিঠিও দিয়েছিলেন তাঁরা। নিরুপায় হয়ে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন তাঁরা। এই বিষয়টি চিঠি দিয়ে আগেই জেলাসভাধিপতি, জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, দেবেন মাহাতো গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, জেলা সংশোধনাগারে, জন স্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে জানিয়েছেন তাঁরা। জল সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত কর্মী রতন রজক বলেন, “যেখানে অস্থায়ী ১৭০০ কর্মী কাজ বন্ধ রেখেছেন সেখানে আমরা নিজেদের কাজ করে যাচ্ছি। সামান্য বেতন দেওয়া হয়। সেটাও অনিয়মিত এবং বকেয়া রয়েছে। আমরা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কিন্তু আমাদের পরিবার কি তাহলে না খেয়ে থাকবে? পুর বোর্ডের কাছে আমরা এবং আমাদের কাজ গুরুত্ব হীন মনে হয়। না হলে আমাদের সঙ্গে কোনও রকম বৈঠক বা আলোচনা করতেন পুর প্রধান। তা তো হয় নি” ওই বিভাগেরই কর্মী সন্টু দত্ত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “বেতন না পেয়ে যদি জেলে যেতে হয় তো যাবো। আমরা পুরবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থী।” শুক্রবার এই কর্মবিরতি বাস্তব রুপ পেলে হাসপাতাল, দমকল সহ বিভিন্ন সরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠানে জল সরবরাহ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। এছাড়া পুর সভার এবং মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেটের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা তেলেডি পাম্প হাউস, শিমুলিয়া পাম্প হাউসে জল উত্তোলন ও সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। একই সঙ্গে ১৮ টি ওভারহেড ও আন্ডার গ্রাউন্ড রিজার্ভারে জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। এই বিষয়ে পুর প্রধান নবেন্দু মাহালি বলেন, “জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কেউ কাজ বন্ধ রাখতে পারেন না। এটা বে আইনি। আমরা চেষ্টা করছি বকেয়া বেতন মিটিয়ে দিতে। সেটা চলতি মাসের ১০ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে আরেকটা মাসের বকেয়া বেতন দেব বলে আগেই জানিয়েছি।” পুর সভার বিরোধী দল নেতা তথা বিজেপির কাউন্সিলর প্রদীপ মুখার্জি বলেন, “কর্মীদের বেতনের দাবিকে আমি পূর্ণ সমর্থন করি। রাজ্যে ও পুরসভায় ক্ষমতায় তৃণমূল। ফান্ড আনতে ব্যর্থ এই তৃণমূল বোর্ড। দেউলিয়া ঘোষণা করে দিক ওরা আর কি?”