সাইবার ক্রাইমের নতুন ছকের শিকার দুর্গাপুরের এক ব্যবসায়ী

0
459

বিশেষ প্রতিনিধি,দুর্গাপুরঃ সাইবার ক্রাইমের নতুন ছক। দুর্গাপুরের এক ব্যবসায়ীর অতনু রায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১১ হাজার টাকা ডিপোজিট করার পর ওই টাকা ক্রেডিট অ্যাপের মাধ্যমে ফেরৎ দিতে বলে দুষ্কৃতীরা। অতনু রাজী না হওয়ায় তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে দুষ্কৃতীরা। এরপর অতনুর ছবি সুপার ইমপোজ করে তাঁর মোবাইলে পাঠানো হয়। ওই ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা। আসানসোল – দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ দায়ের করেছেন অতনু। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের কোনও হদিশ পাওয়া যায় নি। অতনু ও তাঁর পরিবারের লোকেরা আতঙ্কে আছেন। গত কয়েকদিন আগে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে অতনুর অ্যাকাউন্টে ১১ হাজার টাকা জমা হয়। এরপরেই একটি অচেনা নম্বর থেকে তাঁর কাছে ফোন আসে। অতনুকে বলা হয় তিনি ১১ হাজার টাকা লোন নিয়েছেন। তাঁকে ১৯ হাজার ১০০ টাকা ফেরৎ দিতে হবে। অতনু জানিয়ে দেন তাঁর অ্যাকাউন্টে ১১ হাজার টাকা জমা হয়েছে। তিনি কোনও লোন নেন নি। যে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা জমা হয়েছে সেই অ্যাকাউন্টে টাকা ফেরৎ দিয়ে দেবেন। এবার অতনুকে বলা হয় ক্রেডিট অ্যাপের ইনবক্সে টাকা জমা করতে হবে। বিধাননগরের বাসিন্দা অতনু নিউ টাউনশিপ থানায় গিয়ে সমস্ত ঘটনা বলেন। পুলিশের এক আধিকারিক তাঁকে ওই অ্যাপসে টাকা জমা করতে নিষেধ করেন। কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ দায়ের করতে বলেন। এরপর আসানসোলে সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ দায়ের করেন অতনু। অন্যদিকে টাকা ফেরৎ না পেয়ে ক্রমাগত ফোন করতে থাকে সাইবার ক্রাইমের সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীরা। অতনুর হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে দুষ্কৃতীরা। অতনুর মোবাইলে তাঁর ছবি সুপার ইমপোজ করে পাঠায় দুষ্কৃতীরা। ওই ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার সকালে অতনু ফের আসানসোলে সাইবার ক্রাইম বিভাগে যান। অতনু বলেন ‘প্রতিদিন ফোন করে আমাকে হুমকি দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। গালিগালাজ করছে। আমি বলেছি দুর্গাপুরে এসে নগদ টাকা নিয়ে যেতে। কোনও অ্যাপে টাকা জমা করব না। আমার ছবি সুপার ইমপোজ করে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছি। সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ দায়ের করেছি। যে সব নম্বর থেকে ফোন করা হচ্ছে সেই নম্বরগুলি সাইবার ক্রাইম বিভাগে জমা করেছি।’  আসানসোল – দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে এর আগে একাধিক সাইবার ক্রাইমের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করে সেই টাকা ফেরৎ চেয়ে গ্রাহককে বিপদে ফেলার ঘটনা এই প্রথম। সাইবার ক্রাইম বিভাগ থেকে অতনুকে বলা হয়েছে ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। যে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা এসেছে সেই অ্যাকাউন্টে টাকা ফেরৎ পাঠিয়ে দিতে। সাইবার ক্রাইম বিভাগের এক আধিকারিক বলেন ‘বর্তমানে ওই ব্যবসায়ীর কী করনীয় তা বলে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে।’

LEAVE A REPLY