চালু খনি বেসরকারিকরনের বিরুদ্ধে তিলাবনী কোলিয়ারিতে এইচএমএস-এর প্রতিবাদ সভা

0
88

সংবাদদাতা,পাণ্ডবেশ্বরঃ বেসরকারিকরনের বিরুদ্ধে সোমবার তিলাবনী কোলিয়ারিতে প্রতিবাদ সভা করল শ্রমিক সংগঠন এইচএমএস। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের গড়ে তোলা হবে বলে জানানো হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। খনি সংস্থা ইসিএল এর বেশ কয়েকটি বন্ধ কয়লা খনি বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিয়ে ফের সেগুলিতে উৎপাদন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা। পাশাপাশি চালু থাকা বাকোলা এরিয়ার তিলাবনী খনিটিও বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৪ সালে এই কোলিয়ারিটি থেকে কয়লা উৎপাদন শুরু হয় তৎকালীন গোয়েঙ্কা কোম্পানি নামে একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে। খনি রাষ্ট্রীয়করনের সময় এই খনিটিও অধিগ্রহন করে সরকার। বর্তমানে খনিটিতে ৮০০ জন শ্রমিক রয়েছে। প্রতিদিন এখানে উৎপাদন হয় ৩৫০ টন কয়লা। এতদিন বন্ধ কোলিয়ারী বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হতো, কিন্তু এই প্রথম চালু কোলিয়ারি (তিলাবনী) বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংস্থার এই উদ্যোগের ফলে ক্ষোভ ছড়িয়েছে শ্রমিক মহলে। বেসরকারিকরনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোমবার কোলিয়ারি চত্বরে প্রতিবাদ সভা করে শ্রমিক সংগঠন এইচএমএস। সভাতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস কে পান্ডে এরিয়া (বাকোলা) সেক্রেটারি মিন্টু ব্যানার্জি সহ অন্যরা। এস কে পান্ডে জানান, তিলাবনী কোলিয়ারির ভূগর্ভে এখনো ৪৯৪.৫৫ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদ রয়েছে। কোরিয়ারিটি এখনো বহু বছর চলবে। এর সাথে শ্রমিক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। কোলিয়ারিটি বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা বাতিলের দাবি জানান তিনি। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে কোলিয়ারির শ্রমিকরা ছাড়াও এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানান তিনি।অন্যদিকে সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, তিলাবনী কোলিয়ারিতে উৎপাদন বাড়াতেই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। মাইন ডেভেলপার কাম অপারেটর (এম ডি এ) প্রকল্পে তিলাবনী কোলিয়ারিতে উৎপাদনের কাজ করবে বেসরকারি সংস্থা। এখন সেখানে ৩৫০ টন কয়লা উৎপাদন হয় প্রতিদিন। সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে সেখানে প্রতিদিন ৬ হাজার টন কয়লা উৎপাদন হবে।

LEAVE A REPLY