নিজস্ব প্রতিনিধি,বাঁকুড়াঃ ট্রাফিক খুটিতে তখনও লালবাতি, ট্রাফিক সামলাচ্ছেন কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ। কিন্তু কে তোয়াক্কা করে লালবাতির, কে আর পাত্তা দেয় রাস্তার পাশে হাত তুলে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাফিক পুলিশকে। কোতুলপুরের বাসিন্দা জগবন্ধু কর্মকার তখন খুব তাড়াহুড়ো, ট্রাফিক আইন ভেঙেই ফুস করে বাইক নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। ধরে ফেলেন ট্রাফিক পুলিশ। ট্রাফিক আইন ভাঙ্গার খেসারত ফাইন নয় দিতে হবে সময়। আধঘন্টা রোদে দাড়িয়ে সামলাতে হবে ট্রাফিক আইন। যান নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ট্রাফিক পুলিশের মতোই এমনটাই নজিরবিহীন নিদান দেন কতব্যরত ট্রাফিক অফিসার। সেই মতোই কাজ, পরিয়ে দেওয়া হয় ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ সাদা হেলমেট, বুঝিয়ে দেওয়া হয় ট্রাফিক আইন সংক্রান্ত খুটিনাটি। এরপর অন্যান্য ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে রোদে দাঁড়িয়ে আধঘন্টা দিতে হয় ভুলের মাশুল। আধঘন্টা ট্রাফিক ডিউটি করে চড়া রোদে দাঁড়িয়ে গলদঘর্ম অবস্থা তখন জগন্নাথ বাবুর। ছেড়ে দেওয়া কেঁদে বাঁচি অবস্থায় আধ ঘন্টা রোদে দাড়িয়ে ট্রাফিক ডিউটি করার পর হেসে জগন্নাথ বাবুর স্বীকারোক্তি, ভুল করেছি আইন ভেঙ্গে আর কোন দিন এমনভাবে ট্রাফিক আইন ভাঙ্গবো না, তবেই মেলে নিস্তার। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার কোতুলপুরে। প্রতিদিনের মতোই আজ দুপুরেও কোতুলপুর নেতাজি মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ হেলমেট বিহীন বাইক চালক, গাড়ির কাগজপত্র সহ চার চাকার সিটবেল চেকিং করছিলেন। ঠিক সেই সময় এক বাইক আরোহী কোতুলপুর নেতাজি মোড়ে সিগন্যাল ভেঙে পালানোর সয়মই বাঁধে বিপত্তি।জরিমানা নয়, শাস্তির বিধান রোদে গরমে ট্রাফিক পুলিশ যেভাবে ট্রাফিকের ডিউটি করে ঠিক সেই ভাবে ট্রাফিক সামলাতে আঘাঘন্টা। মনুষকে বারবার সাবধান করে, ফাইন করেও কাজ হচ্ছেনা তাই এই অভিনব পন্থা দাবী ট্রাফিক পুলিশের।