নিজস্ব প্রতিনিধি,বাঁকুড়াঃ রোদে পুড়ছে লালমাটির জেলা বাঁকুড়া। তাপের পারদ ঘোরাঘুরি করছে ৪২ ডিগ্রির আশেপাশে। প্রবল গরম আর রোদের তাপে বাঁকুড়ার সবজি চাষীদের এখন মাথায় হাত। রোদের প্রবল তাপে মাটি গরম হয়ে গাছের গোড়া শুকিয়ে যাচ্ছে। বোরো ধানের ফলনেও বাধ সাধছে অত্যধিক উত্তাপ। সূর্যের প্রবল তাপে শুকিয়ে ঝলসে যাচ্ছে সবজি গাছ। শুকিয়ে ফুটিফাটা হয়ে যাচ্ছে জমি।মার খাচ্ছে সবজির উৎপাদন দর বাড়ছে তরতর করে। ঝিঙা,পটল, ভেন্ডি, উচ্ছে,ক্যাপ্সিকাম,বেগুন, লাউ, কুমড়ো প্রায় সব চাষে দাবদাহের আঁচ লেগেছে। এমনিতেই শীতকালে বৃষ্টি হয়নি এরফলে ভূগর্ভস্থ জলস্তর নিচে নেমেছে।গ্রীষ্ককালীন চাষে সেচের কাজে প্রয়োজনীয় জল পাচ্ছেনা কৃষকরা। সেচের জলে সবজি বাচাঁনো সম্ভব নয় দাবী কৃষকদের। আগামি কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে ব্যাপক ক্ষতি হবে উৎপাদনে। আশানূরূপ সবজি উৎপন্ন না হওয়ায় বড়সড় ক্ষতির মুখে বাঁকুড়ার সবজি চাষীরা। তাপের প্রভাবে সবজির বাগানে উৎপাদন অনেকটাই কমেছ,ফলে বাজারেও সবজির যোগান কমেছে। দাম বেড়েছে গ্রীষ্মকালীন সবজির বাজারেও। গরমের কারনে দেখা মিলছে না ক্রেতাদেরও। বলছেন সবজি বিক্রেতারা। ক্রেতাদের অভিযোগ,যেটুকু টাকা নিয়ে আসছেন তাতে প্রয়োজন মতো সবজি বাড়ি নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না।গরমে বাজারে বেরিয়ে বাজার করতে এসে দামে ছ্যাঁকা খাচ্ছেন ক্রেতারা। সব সবজির দাম আকাশছোঁয়া বাজারে এসে দাবি করছেন ক্রেতারা। কৃষকদের দাবি, তাদের উৎপাদিত ফসল গরমে পুড়ে গেলেও কৃষি দপ্তরের দেখা নেই। অন্যদিকে উদ্যান প্রতিপালন দপ্তর শুধুমাত্র কৃষকদের উপদেশ দিতেই ব্যস্ত। কৃষি দপ্তরে জানালে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাবে সরকারি নিয়ম অনুসারে এমনটাই দাবি কৃষি দপ্তরের।