সংবাদদাতা,অন্ডালঃ পানীয় জলের কলের সংযোগ বন্ধ করা নিয়ে ছড়ালো উত্তেজনা। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে উখরা গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তরে। পুলিশি হস্তক্ষেপে মিটে সমস্যা। উখড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের হুজুকপাড়া-তে নির্দিষ্ট সময়ে কলে জল না পড়ায় তৈরি হয় উত্তেজনা। পঞ্চায়েত দপ্তরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বাসিন্দাদের একাংশ। বিক্ষোভকারীরা জানান এদিন দুপুরে নির্দিষ্ট সময়ে তাদের পাড়ায় কলে জল আসেনি। কলের ভাল্ব খোলার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের জিজ্ঞেস করলে তারা জানাই কমলাকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় নামে অন্য পাড়ার এক পঞ্চায়েত সদস্য ভাল্ব খোলার রেঞ্জ সহ সরঞ্জাম আটকে রেখেছে তাই ভাল্ব খোলা সম্ভব নয়। এতে ক্ষোভ ছড়ায় এলাকায়। বিষয়টি জানার পরে দিন দুপুরে হুজুক পাড়ার বাসিন্দাদের একাংশ পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে ভাল্ব খোলার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। সেই সাথে অভিযুক্ত ১৫ নম্বর সংসদের তৃণমূল সদস্য কমলাকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় কে ঘিরেও চলে বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীরা কমলাকান্ত বাবুর কাছে জানতে চান তিনি কেন কর্মীদের কাছ থেকে ভাল্ব খোলার সরঞ্জাম আটকে রেখেছেন। দু’পক্ষের বচসার কারণে পঞ্চায়েত অফিস দপ্তরে উত্তেজনা তৈরি হয়। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায় উখড়া আউট পোষ্টের পুলিশ। পুলিশ ও পঞ্চায়েত প্রধান রিতা ঘোষের মধ্যস্থতাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এদিকে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ পঞ্চায়েত সদস্য কমলাকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়। তিনি বলেন আমার সংসদ (পাঠক পাড়া) এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কলে জল পড়ছে না। কেন জল আসছে না কলে, সেই বিষয়ে দায়িত্বে থাকা কর্মীদের জিজ্ঞেস করেছিলাম। তারা এ বিষয়ে সঠিক কারণ জানাতে না পারার জন্য ভাল্ব খোলার সরঞ্জাম গুলো আটকে রেখেছিলাম। ওই কর্মীরা হুজুকপাড়ার লোকদের আমার বিরুদ্ধে উস্কানি মূলক মিথ্যা কথা বলাতে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। ওই পাড়ার জল সরবরাহ আমি বন্ধ করিনি বলে জানান কমলাকান্তবাবু।