সাথী প্রামানিক, পুরুলিয়া, ১৯ জুন: কর্তৃপক্ষের একাংশ পুলিশ কর্মীর বিচক্ষণতার অভাবে ডব্লিউবিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দিতে পারলেন না পুরুলিয়ার এক যুবতী। বরাবাজারের শারীরিক প্রতিবন্ধী ওই যুবতীর পুরুলিয়া শহরের নিস্তারিণী কলেজে পরীক্ষার সিট পড়ে। আজ নির্ধারিত সময়ের পনের মিনিট দেরিতে সেখানে পৌঁছালে তাঁকে কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেয় প্রবেশ দ্বারে থাকা পুলিশ কর্মীরা। ওই সময় ওই পরীক্ষার্থী দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন তাদের। কিন্তু নিস্ফল হয়ে যায় তাঁর কাকুতি। ভেনু ইন চার্জ ওই পরীক্ষার্থীর আবেদন গ্রাহ্য করে পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে মানবিকতার ছাপ রাখেন নি।
আক্ষেপের সঙ্গে নিজের কথা জানান ওই প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী সালমা খাতুন। তিনি বলেন, “আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী। বরাবাজার থেকে গাড়ি ভাড়া করে পুরুলিয়ার পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছায়। তখন পরীক্ষা ১৫ মিনিট শুরু হয়েছে। তাড়াহুড়ো করে কেন্দ্রে ঢুকতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হই। পুলিশ কর্মীর বাধা পেয়ে জেলাশাসক, ডি এস পির অনুমতি নিয়েও ভেনু ইন চার্জের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয় নি। এখনকার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরা ভেতরে ঢুকতেই দেয় নি।” এই ঘটনার পর পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই মহিলা পরীক্ষার্থী। বরাবাজারের নামোপাড়ার বাসিন্দা ওই যুবতী স্থানীয় কস্তুরবা গান্ধী কেন্দ্রীয় বালিকা বিদ্যালয়ের অস্থায়ী শিক্ষিকা। বৃদ্ধ বাবা মাকে নিয়ে থাকেন তিনি। তাঁর উপার্জিত অর্থ ও পরিবারের সঞ্চয় থেকেই সংসারের খরচ চলে। ওই অবস্থা থেকে বিভিন্ন কোচিং সেন্টার ও অনলাইনে ডব্লিউবিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা না দিতে পারার হতাশা নিয়েই বাড়ি ফেরেন।